সভাপতি ছেড়ে প্যানেল গঠন করল সালাউদ্দিন বিরোধীরা

40

স্পোর্টস ডেস্ক

বাফুফে নির্বাচনে একটু হলেও প্রতিদ্বন্দ্বতার হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নিরস নির্বাচনে রঙ এনেছে একটা অংশ। নির্বাচনকে একপেশে হতে দিতে চায় না সালাউদ্দিন বিরোধীরা। তাই নির্বাচনের মাত্র ১৬ দিন বাকী থাকতে কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীর সম্মিলিত পরিষদের বিপক্ষে একটা সমন্বয় প্যানেল গঠন করেছে শেখ আসলাম-মারুফ-মহি পরিষদ। যদিও সভাপতি পদটা অপূর্ণ রেখেই প্যানেল ঘোষণা করেছে এই সমন্বয় পরিষদ।
নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে ১৯ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করেছে জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। ক্লাব ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সমঝোতায় এক সিনিয়র সহ সভাপতি, তিন সহ সভাপতি আর ১৫ সদস্য পদপ্রার্থীদের চূড়ান্ত করে প্যানেল দেয়া হয়েছে।
যদিও এমনই একটা প্যানেলই প্রায় খসড়াভাবে চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। সেই প্যানেলের বেশিরভাগ প্রার্থীই এই সমন্বিত প্যানেলে জায়গা করে নিয়েছেন। তরফদার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোয় এই প্যানেলের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে যায়। পরে একেবারে শেষ মুহূর্তে সালাউদ্দিন বিরোধীদের নিয়ে এই প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছে এই প্যানেলের সদস্যরা। প্রথমদিন আজ সিলেট থেকে শুরু হয়েছে তাদের প্রচারণা। সভাপতি পদে বাদল রায়ের বৈধতা থাকলেও প্রত্যাহার ঘোষণা করায় নির্বাচনে দৃশ্যত শফিকুল ইসলাম মানিকই প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে লড়বেন কাজী সালাউদ্দিনের বিপক্ষে।
৩ অক্টোবর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম), নির্বাচন (দুপুর ২টা থেকে বেলা ৬টা) ও প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
১৩৯ জন কাউন্সিলর একজন করে সভাপতি ও সিনিয়র সহ-সভাপতি, চারজন সহ-সভাপতি এবং ১৫ জন সদস্যকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন।
সমন্বিত পরিষদ প্যানেল :
সিনিয়র সহ সভাপতি: শেখ মোহাম্মদ আসলাম
সহ সভাপতি: আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, শেখ মারুফ হাসান
সদস্য: ফজলুর রহমান বাবুল, মিজানুর রহমান, শাকিল মাহমুদ চৌধুরী, আমের খান, সাব্বির হোসেন, ইমতিয়াজ সুলতান জনি, মহিদুর রহমান মিরাজ, আরিফ হোসেন মুন, সৈয়দ মোস্তাক আলী, আমিনুল হক মামুন, হাসানুজ্জামান বাবলু, আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, সাইফুল ইসলাম, টিপু সুলতান, মনজুরুল আহসান।