সন্দেহভাজন ও বহিরাগতদের প্রবেশে বাধা

26

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীতাকুন্ডের পাহাড় অধ্যুষিত জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় ক্লোজ সার্কিট (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপনের পর গত বুধবার দিবাগত রাত থেকেই তা প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে রয়েছে। সেখানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় তল্লাশি চৌকিতে জঙ্গল সলিমপুরগামী ও সেখান থেকে বের হওয়া পাঁচ শতাধিক যানবাহন আটক করে ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে দেখা হয়। কয়েকশ’ মানুষের কাছে সলিমপুর যাওয়ার উদ্দেশ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। বহিরাগত ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে সলিমপুর প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। এসময় ৩৮টি মামলায় ৩১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এর আগে রাতভর অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুসাইন মোহাম্মদ। তিনি রাতের বিভিন্ন সময়ে জঙ্গল সলিমপুরগামী সকল যানবাহনের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই এবং লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অভিযানে নেতৃত্ব দেন আগ্রাবাদ সার্কেল এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার। তিনি ২৫ মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। জেলা ও নগর পুলিশ এবং র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করেন। এরপর সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত ১২টা এবং পরবর্তী ভোর ছয়টা পর্যন্ত পৃথক দু’জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
চান্দগাঁও সার্কেল এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে জঙ্গল সলিমপুরে যেন আর কোনও অবৈধ বসতি গড়ে না উঠে এবং সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ড ও ভূমিদস্যুতা প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক নিরবচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। তল্লাশি চৌকিতে বিভিন্ন শিফটে পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন।