‘শেয়ার কেনার চাপে’ উল্লম্ফন পুঁজিবাজারে

45

বড় দরপতনের পরদিনই বড় উল্লম্ফন ঘটেছে পুঁজিবাজারে, সূচক বেড়ে আবারও ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। দরপতনের পর কম দামে শেয়ার কিনতে অনেকে আগ্রহী হওয়ায় সূচকের এই উল্লম্ফন ঘটেছে বলে মনে করছেন ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভী।
গত কিছুদিন ধরেই দরপতন চলছিল পুঁজিবাজারে। গত রবিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচক ৩১ মাসের মধ্যে সবনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার ছিল বিপরীত চিত্র। ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১১১ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে অবস্থান নেয়। চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৯৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট।
হঠাৎ সূচক বাড়ার কারণ কি- এর ব্যাখ্যায় শাকিল রিজভী বলেন, ‘পুঁজিবাজারে শেয়ারের দাম অনেক কমে গিয়েছিল। চরম আস্থাহীনতার কারণে মানুষ ভয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছিল। মার্কেট ফোর্সই বিনিয়োগ ডেকে এনেছে। মানুষ কম দামে শেয়ার কিনতে এসেছে। তাই আজকে সূচক বেড়েছে’। খবর বিডিনিউজের
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৭ টির, কমেছে ১৫ টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ টির দর।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৮৪টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৩ টির, কমেছে ৩৮ টির, অপরিবর্তিত রয়েছে ১৩ টির দর। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট ৩১৭ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। সোমবার লেনদেন ছিল এর চেয়ে বেশি। সেদিন ৪৬৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন কমেছে। এদিন ১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আগের দিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২১ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
ডিএসইএক্স বা প্রধান সূচক ১১১দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৭ দশমিক ৭৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২৫ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৬৪ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ৩৮ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮১৪ পয়েন্টে।
সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২৯৮ দশমিক ২৩ পয়েন্ট; সূচক হয়েছে ১৫ হাজার ২১৫ পয়েন্ট।
গত কয়েকদিন ধরে টানা সূচক পড়ছিল পুঁজিবাজারে। এর জন্য গ্রামীণফোন এবং পিপলস লিজিংয়ের শেয়ারের দর অস্বাভাবিক কমে যাওয়া, ব্যাংকগুলোর কাছে টাকা না থাকা, গ্যাসের দাম বাড়ানোয় কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার শঙ্কাকে কারণ দেখাচ্ছিলেন বিশ্লেষকরা। পুঁজিবাজারে আস্থাহীনতার কারণ অনুসন্ধানে কমিটিও গঠন করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।