শিকলবাহায় ঘাটের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ, উত্তেজনা

35

কর্ণফুলী নদীর শিকলবাহা এলাকায় স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরি একটি ঘাটের আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রবিবার বিকালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় মোহাম্মদ আলী (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোহাম্মদ শফি নামের এক ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় ঘাট, মদ ও জুয়ার আসরের আধিপত্য নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটে। আহত মোহাম্মদ আলী শিকলবাহা ইউনিয়নের কালীর গোষ্ঠির বাড়ির বাসিন্দা খলিল আহমদের পুত্র। তিনি এখনো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদিকে ঘাটের দখল ও অবৈধ পণ্যের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শিকলবাহার ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ তাঁতিয়া পুকুর পাড় এলাকায় কালো বাজারের তেল ও নিত্যপণ্য পাচার হচ্ছে। বিভিন্ন জাহাজ থেকে চুরি করা এসব মালামাল তাঁতিয়া পুকুর পাড় হয়ে বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হয়। এসব কারণে মাঝেমধ্যে ওই ঘাটের দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘাটের আধিপত্য নিয়ে বছর কয়েক আগে এক ব্যক্তি খুন হন।
সূত্র জানায়, তাঁতিয়া পুকুর পাড় এলাকায় স্থানীয় সমাজ উন্নয়ন পরিষদ নদীর পাড়ে একটি ঘাট নির্মাণ করে। সমাজ উন্নয়ন পরিষদ থেকে ওই ঘাটের ইজারা পান নাজিম ও তাহের গং। যাত্রীদের সুবিধার্থে ঘাট নির্মাণ করা হয়। দিনের বেলায় এই ঘাট দিয়ে লোকজন পারাপার হলেও রাতের বেলায় জাহাজ থেকে চোরাই পণ্য চুরি করে তা পাচারের কাজে ব্যবহার করা হয়। চোরাই পণ্যকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় বেশ কয়েকটি তেল ও পণ্যের দোকান স্থাপন করা হয়েছে। এ নিয়ে ঘাটের ইজারাদার নাজিম ও পিন্টু এবং খোকন গংয়ের সাথে বিরোধ তৈরি হয়। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে কয়েকবার মারধরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ ইকবাল জানান, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা সামাজিকভাবে মিমাংসা করা হয়। এ কারণে আটক শফিকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। মোহাম্মদ আলী নামের আহত ব্যক্তি কোন পক্ষের লোক নন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে পড়ে আহত হন তিনি। এই ঘাটকে কেন্দ্র করে জুয়া ও মদের আসর নিয়ে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘাতের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি সামাল দিতে একজনকে আটক করা হয়েছিল পরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে দুই পক্ষ যেন কোন ধরণের সংঘর্ষে না জড়ায় সে ব্যাপারে তাদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছে।