শাহ আমানত সেতুর নগরপ্রান্তে গ্রামমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

42

আবেদ আমিরী, পটিয়া

শাহ আমানত সেতুর নগরপ্রান্তে গ্রামমুখী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ এখন নিত্য চিত্র। রাস্তার উপর পার্কিং করে যানজট, ভাড়ানৈরাজ্যে আর ট্রাফিক পুলিশের সামনেই অবৈধ বাস, মাহিন্দ্র ও ট্যাক্সি যাত্রীদের জিম্মি করার ঘটনায় নাকাল যাত্রীরা।
ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে চলাচলরত নগরী ও হাইওয়ে সড়কে নিষিদ্ধ যানবাহনের ভিড়ে যাত্রীদের দুর্দশা এখন চরমে। প্রতিদিন বিকাল গড়ালে এ অবস্থা। বৃহস্পতিবার এ অবস্থা চরম শিখরে পৌঁছে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের অভিযোগ, গোল চত্ত্বর এলাকায় গত কয়েক মাস ধরে যানবাহন চলাচলে কোন ধরনের শৃঙ্খলা না থাকায় দিনভর যানজট লেগে থাকে।
গতকাল বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সার্জেন্ট নাঈমসহ ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় থাকলেও তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না। এতে যানজটের সারি শাহ আমানত সেতুর উপর পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়।
জানা গেছে, সপ্তাহে ৩ দিন দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাসচালক ও মালিকরা চাঁদ রাত বলে মনে করেন। তাই যাত্রীদের জিম্মি করে ঐ ৩ দিন সিট ক্যাপাসিটির নামে বাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় নির্ধারিতের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নগরী থেকে ফিরতি পথে এবং শনিবার বিকাল এবং রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে যাত্রী জিম্মির প্রতিযোগিতা। অনেক যাত্রীর অভিযোগ শুধু ৩ দিন নয়, প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকে নগরী প্রান্তে যাত্রীদের জিম্মি করে তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া আদায় এখন নৈমত্যিক ঘটনা। কিন্তু এর প্রতিকার মিলছে না কোথাও।
বাসমালিক মোহাম্মদ সেলিম জানান, নগরীতে গত দুই বছর আগে চলাচল নিষিদ্ধ রুট পারমিটবিহীন কোস্টারগুলে এখন চলাচল করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের হাইওয়ে রুটে। একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পটিয়া হাইওয়ে পুলিশ ও নগরীর বাকলিয়া ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব গাড়ি চলাচল করছে। এসব গাড়ি থেকে সরকার কোন ধরনের রাজস্ব পায় না। এসব কোস্টারের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে এ সড়ক থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে বৈধ বাসগুলো। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সন্ধ্যার পর একসঙ্গে অনেক লোকের যাত্রাকে পুঁজি করে বাণিজ্য করে গণপরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ দিবসে সড়কে নামলেই গাড়ি নেই। বেশি ভাড়া দিয়েও গাড়ি পাওয়া যায় না। আবার দেখা যায় এক ঘণ্টার পথ পাঁচ ঘণ্টায় পাড়ি দিতে হয়। এ ব্যাপারে প্রশাসন সম্পূর্ণ নীরব থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ সড়কের যাত্রীরা। সরকারি যে কোন বন্ধ ও উৎসবের সুযোগে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীবাহী বাস, হাইচ, মাইক্রো চালক-হেলপাররা।
এ বিষয়ে কথা বলতে টিআই (বাকলিয়া) মোহাম্মদ মুকিতকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন না ধরায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।