শঙ্খ থেকে বালু তোলার প্রতিবাদে দীর্ঘ মানববন্ধন

87

চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খরস্রোতা শঙ্খনদী থেকে সরকারি প্রকল্পের নামে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বাদে জুমা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বিওসি মোড় এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শঙ্খনদীর তীরবর্তী চন্দনাইশ-সাতকানিয়ার ভুক্তভোগী শত শত মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এতে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রমত্তা শঙ্খনদীর তীব্র ভাঙনে চন্দনাইশ সাতকানিয়া এলাকার শত শত ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে হাজার হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। সেই সাথে শত শত একর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর শঙ্খের ভাঙন থেকে নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে খরস্রোতা শঙ্খনদীতে ২০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্তমান সরকার নদীর দু’পাড়ে সিসি বøক স্থাপন করে। কিন্তু দোহাজারীতে রেললাইন ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের জন্য ৬ লাইনের পৃথক দু’টি ব্রিজ নির্মাণ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা অবৈধভাবে শঙ্খনদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। সেই সাথে একটি রাজনৈতিক দলের নাম ব্যবহার করে এ ২টি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজশে স্থানীয় বালুদস্যুরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। এব্যাপারে স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে আমরা মানববন্ধনের আয়োজন করেছি।
তাদের দাবি- নির্মাণাধীন ২টি ব্রিজের পাশ ঘেঁষে শঙ্খনদী থেকে বালু উত্তোলনের কারণে শঙ্খনদীর দু’পাড়েই বøক ও স্পার ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। একই সাথে শঙ্খনদীর দু’পাড়ের বাসিন্ধাদের বসতবাড়ি পুনরায় ভাঙনের কবলে পড়তে শুরু করেছে। নির্মাণাধীন ব্রিজ দু’টিও হুমকির মুখে রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে নেয়ায় সরকারও হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। এব্যাপারে তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।
মানববন্ধন শেষে শঙ্খব্রিজ অভিমুখে গণপদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সাতকানিয়া-চন্দনাইশের সর্বস্তরের জনসাধারণের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কালিয়াইশ ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা নায়েক আবু তাহের, সায়ের আহমদ সাঈদ, নবকল্লোল যুব সংঘের সভাপতি প্রকৌশলী শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, আরব আলী বাচা, রমজান আলী, আবুল বশর, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, ডা. হাবিবুর রশিদ কানন প্রমুখ।