লোহাগাড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু

22

লোহাগাড়ায় জলাশয়ে কলমী শাক তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় ময়না আক্তার (১৩) নামের এক কিশোরী। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে মা রাশেদা বেগমও (৩৭) বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার আধুনগরস্থ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক সংলগ্ন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক আধুনগর শাখা ভবনের পেছনের একটি জলাশয় থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত রাশেদা বেগম ও তার মেয়ে ময়না আক্তার কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী ও কন্যা।
বাদশা মিয়া আধুনগরের বায়তুল নুর পাড়ায় স্থানীয় জনির ভাড়া বাসায় সপরিবারে বাস করতেন। তারা স্বামী-স্ত্রী দু’জনই আধুনগরের খাজা গ্রূপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের প্লাইউড ফ্যাক্টরির শ্রমিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকেলে বাদশা মিয়ার মেয়ে ময়না আক্তার আধুনগরস্থ এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ভবনের পেছনের জলাশয়ে কলমি শাক তুলতে যায়। জলাশয়ে আগে থেকেই থাকা স্থানীয় হেলাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ফার্নিচার দোকানের বৈদ্যুতিক কাটা তারের সাথে জড়িয়ে (বিদ্যুৎস্পৃষ্ট) মারা যায় ময়না আক্তার। এদিকে সোমবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ময়নাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ক্লান্ত মা রাশেদা বেগম পরদিন (গতকাল মঙ্গলবার) সকালে খুঁজতে বের হন। এক পর্যায়ে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক আধুনগর শাখা ভবনের পেছনে জলাশয়ে ময়নার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মা রাশেদা বেগম। এ সময় ‘হাউমাউ’ করে কাঁদতে কাঁদতে তার মৃতদেহ টেনে তুলতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেন। পরে রাশেদা বেগমের স্বামী বাদশা মিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে মা-মেয়ের লাশ তাঁর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লোহাগাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার মাগরিব নামাজের পর পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের শরৎঘোনা এলাকায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মা-মেয়ের লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানান বাদশা মিয়া।