লিটনের উন্নতির রহস্য

51

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর দেশের জার্সিতে ৫৫টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন লিটন কুমার দাস। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের জাতীয় দলে শুরুটা ছিল হতাশাজনক। যার জন্য গত দুই বছরে তাকে শুনতে হয়েছে নানান কথা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের চাদরে মুড়িয়ে দিলেন অতীত সব সমালোচনা। ব্যাট হাতে একসময়ের ব্যর্থ লিটন এখন হয়ে উঠেছেন দলের দায়িত্বশীল সদস্য। ছন্দের ওঠা-নামা হলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জ্বলে ওঠেন লিটন। শেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে ব্যাট হাতে দারুণ ইনিংস খেলে সেদিন তামিমের অভাব নিশ্চিতভাবে পুষিয়ে দেন দিনাজপুরের এই ছেলে। সেঞ্চুরি করে দলের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন লিটন, যদিও শেষ ফলাফলে হাসি ফোটেনি বাংলাদেশের। গত জুলাই-আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও টি-টোয়েন্টিতে ৬১ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলের আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন এই ওপেনার। কিন্তু হঠাৎ কীভাবে এত দায়িত্বশীল হয়ে উঠলেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান? তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের পরামর্শক এবং দেশের অভিজ্ঞ কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তার মতে, লিটনের মাঝে দুটি পরিবর্তন এসেছে। তার মাঝে মানসিক শক্তিটাকেই বিশেষভাবে দেখছেন ক্রিকেটারদের প্রিয় ফাহিম স্যার।
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, দুটি জায়গায় লিটনের পরিবর্তন এসেছে। তার মধ্যে মানসিক একটা বড় পরিবর্তন দেখলাম। ও আসলে ওর মতো খেলতে চাচ্ছে। হয়তো চলাফেরায় সব সময় ওকে শান্ত দেখা যায়। কিন্তু সে বেশ আক্রমণাত্মক একজন ব্যাটসম্যান। যখন সে ব্যাট হাতে নামে, তখন সে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। লিটন যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করল, তখন থেকে ওর মধ্যে আরেকটি পরিবর্তন দেখা যায়। সে অন্য ধরনের একটা রোল প্লে করার চেষ্টা করছে। মনে হয়, ওর মাঝে দায়িত্বটা দিয়ে দেওয়া হয়েছে যে তোমাকে দেখে খেলতে হবে। সাবধানে খেলতে হবে। এ ধরনের কিছু ওর মাঝে ঢোকানো হয়েছে, যার জন্য তাকে তার স্বাভাবিক খেলাটা থেকে একটু বাইরে আসতে হয়েছে। কিন্তু এখন আবার মনে হয়, সে আগের লিটনই আছে। আক্রমণাত্মক ভাবটা এখনো আছে। তবে ইতিবাচক খেলার জন্যই সে মাঠে যাচ্ছে। এটা বড় একটা পরিবর্তন।