রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে মোস্তাফিজের কাছে হারল মাশরাফির রংপুর

39

টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে ১৩৫ রানকে মোটেও চ্যালেঞ্জিং স্কোর বিবেচনা করা হয় না। এই রান করে জয়ের স্বপ্ন দেখাটাকে বিলাসিতাই মনে করা হয়। কিন্তু রোববার ১৩৫ রান করেই রংপুরের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী কিংস।
প্রথমে ব্যাট করে রংপুর রাইডার্সকে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল রাজশাহী। ক্রিস গেইল সমৃদ্ধ রংপুরের ব্যাটিং লাইন আপের কাছে যা যৎসামান্যই। কিন্তু এই ‘সামান্য’ই পার করতে পারল না মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। রাজশাহীর কাছে হেরে গেল ৫ রানে।
এদিন রাজশাহীর দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ তান্ডব শুরু করেন গেইল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তিনি চড়াও হন কামরুল ইসলাম রাব্বির ওপর। প্রথম পাঁচ বলে তুলে নিয়েছিলেন ২০ রান ৬, ৪, ৪, ০, ৬। তবে ষষ্ঠ বলে গেইলকে সৌম্য সরকারের ক্যাচে পরিণত করে রাজশাহী শিবিরে স্বস্তি এনে দিয়েছেন রাব্বিই।
তার আগে নিজের করা প্রথম ওভারের শেষ বলে রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ফেরান রাব্বি। এদিন ‘ডাক’ মারেন রংপুরের অধিনায়ক। এরপরও মোহাম্মদ মিঠুন ও রিলে রুশোর জুটিতে ম্যাচ রংপুরের দিকেই হেলে ছিল। কিন্তু মিঠুন আউট হয়ে গেলে ম্যাচ ধীরে ধীরে রংপুরের হাত ছাড়া হতে থাকে। যদিও ম্যাচের শেষ বলটি পর্যন্ত ছিল টানটান উত্তেজনা।
মিঠুন ব্যক্তিগত ৩০ রানে মোহাম্মদ হাফিজের বলে আউট হয়ে যান। রুশো একপ্রান্ত ধরে খেললেও অপরপ্রান্তে তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দিতে পারেনি রংপুরের আর কোন ব্যাটসম্যানই। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩০ রান পর্যন্ত করতে পারে মাশরাফির দল। রুশো ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
রংপুরের ইনিংসের শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৯ রানের। মূলত এই ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কাছে হেরে যায় রংপুর। ওভারের প্রথম বলে এক রান নেন রুশো। স্ট্রাইকে যান ফরহাদ রেজা। তাতেই কপাল পুড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ফরহাদের ব্যর্থতায় পরপর তিন বলে কোন রান হয়নি। চতুর্থ বলে বাই রান নিয়ে স্ট্রাইকে যান রুশো। কিন্তু ততোক্ষণে রাজশাহীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে।
শেষ বলে জয় পেতে রাজশাহীর দরকার ৭ রান, ৬ মারলে ম্যাচ টাই। কিন্তু শেষ বলটিতেও এক রানই তুলেতে পারেন রুশো। রাজশাহীর হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন রাব্বি ও মোহাম্মদ হাফিজ। এছাড়া একটি উইকেট নিয়েছেন ইরুসু উদানা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। জাকির হাসান অপরাজিত ৪২*, মোহাম্মদ হাফিজ ২৬ ও ও সৌম্য সরকার ১৮ রান করেন।