রাঙামাটিতে ছয়জন হোম কোয়ারেন্টিনে

57

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সতর্কতায় রাঙামাটিতে বিদেশফেরত ছয়জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে তারা কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। গতকাল বুধবার বিকাল ৫টায় আয়োজিত এক জরুরি সভায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এবং সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্ল্যাহ সহ প্রশাসনিক,
বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সমাজকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ করে বিদেশ থেকে যারা আসছেন তাদের নজরে আনতে হবে। তাদের সঠিক তথ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে হবে। বিদেশীদের প্রবেশে নিষোধাজ্ঞা জারি দরকার। পর্যটকদের আগমনও বন্ধ করে দিতে হবে। রাঙামাটিতে বিদেশফেরত ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে রাঙামাটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৪৩ জন ফেরত এসেছেন বলে জানানো হয়েছে সভায়। তাদের সবাইকে নজরে আনতে জোর দেয়া হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতংকের কারণ নেই। তবে এ নিয়ে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, তা প্রতিরোধ করতে হবে। জনগণ সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের সঠিক তথ্য দিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। রোগ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকলে জরুরিভাবে হাসপাতালের হটলাইনে যেতে হবে। যেসব নিয়মনীতি রয়েছে, সেগুলো যথারীতি পালন করে সচেতন থাকতে হবে।
সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা জেলার ৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসাসেবাসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এ ধরনের কোনো রোগী চিকিৎসায় সদর হাসপাতালসহ ৫০ শয্যাবিশিষ্ট তিনটি স্থাপনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনমূলক অভিযানে শহরে সকাল থেকে মাস্ক ও লিফলেট বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক।