রক্তে কেনা একুশ চেতনার উম্মেষকাল

122

বাংলা ভাষা এমনই এক বিস্ময়কর সৃষ্টি যা থেকে বাঙালি জাতির স্বকীয়তা প্রতিভাত হয়েছে। ভাষার জন্যে লড়াই করেছে এমন বীরের জাতি পৃথিবীতে বিরল। বর্ণ পরিচয়ের যে ঐতিহ্য ও উত্তরাধিকার এই মহান ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকেই আমরা ধারণ করেছি। মায়ের বুলি বা মায়ের ভাষা কিম্বা মাতৃভাষা যেভাবেই আমরা প্রকাশ করি না কেন, বাস্তব জীবনে বাঙালির ঘরে প্রতিটি শিশুর মুখে যখন শব্দ ফোটে তাতে মায়ের ভাষাতেই সে কথা বলে। আমাদের সেই ঐতিহ্য ও ইতিহাসকে ধারণ করে বাংলা বর্ণমালার পরিচয় বেড়ে ওঠেছে। বাংলা মায়ের ভাষা হিসেবে বাঙালি জাতির হাজার হাজার বছরের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রক্তঝরা আন্দোলনের মধ্য দিয়্।ে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির অস্থিমজ্জার সাথে এমনভাবে মিশে আছে যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আবাল বৃদ্ধ ভনিতা স্মরণ করতে থাকবে। প্রতিবছর একুশ আসে আমাদের সবার জীবনে ভিন্নমাত্রা ভিন্ন আংগিকে ভিন্ন বার্তা নিয়ে। এ্ই সময়টাতে দেশে বিদেশে ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় শহীদ বেদী। কেবল বাংলাভাষাভাষী মানুষই নয়, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মাধ্যমে একুশ এখন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ঘরে ঘরে। এজন্যে সহজেই বলা যায়, একুশ আমার অহংকার। একুশ আমার চেতনা। একুশ বাংলা ভাষার অধিকার। একুশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা । গর্ব ও গৌরবের অহংকারে ভাস্বর একুশ প্রতিবছর আমাদের জীবনে ঘুরে ঘুরে আসে। চেতনা, ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেব বাংলাভাষাভাষী মানুেেষর আতœ অহংকারের প্রথম ও প্রধান সোপান হলো একুশ। তাই জাতীয় সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে একুশ বারবার আমাদের জীবনে ফিরে আসে।
বর্ণমালা বা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে বিশ্বে এরকম ঘটনা দ্বিতীয়ট্ িনেই। ১৯৪৮ সালের পর থেকে বাংলা ভাষা আন্দোলনের বীজ প্রোাথিত হয়। জানা যায়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. জিয়াউদ্দিন উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে পূর্ববঙ্গ থেকে ড. মুহম্মদ শহীদুলাহ ওই প্রস্তাবের প্রবল বিরোধীতা করে জোরালো ভাবে রাষ্ট্রভাষার দাবী তুলে ধরেন। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের গণপরিষদে প্রথমেই ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবী উত্থাপন করেন। সেই থেকে শুরু। প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস একটা ভিন্ন প্রেক্ষিত। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট আলোচনায় আমরা দেখি, তৎকালীন পাকিস্তানের শতকরা ৫৫ জন নাগরিকের ভাষা ছিলো বাংলা। এ যুক্তিকে অগ্রগণ্য হিসেবে ড. মুহম্মদ শহীদুলাহ বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোরালো দাবী উপস্থাপন করেন।এরপর পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার চেষ্টা করলে সকল স্তরের নাগরিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরই এক পর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ২১ মার্চ তদানীন্তন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ উর্দুকেই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা প্রদানে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি। ঠিক সেভাবে পালাক্রমে এর তিনদিন পর ২৪ মার্চ কায়দে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একই কথার প্রতিধ্বণি করে উচ্চারণ করেন,উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা। জিন্নাহ সাহেবে কথার সাথে তাল মিলিয়ে ১৯৫২ সালের ২৬ জানুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ঢাকাতে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি প্রদান করেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের এ ঘোষণায় সারাদেশে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে নেমে আসে প্রচন্ড আঘাত। সারাজাতি প্রতিবাদমুখর হয়ে ডাক দেয় আন্দোলনের। সূচনা হয় নূতন ইতিহাস লেখার। বিশ্বের এমন একটি অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি পায় যেখানে ভাষার দাবীতে জোরদার আন্দোলন সংঘটিত হয় পূর্ব পাকিস্তানে। অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে এভাবেই পালাক্রমে আসে সেই ঘটনাবহুল দিন। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ২১ ফেব্রুয়ারি। ঐদিন সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা মিছিল বের করে। সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক দিনটি উন্মোচিত হয়। ছাত্রদের ওপর নির্বিচারে গুলী চালিয়ে হত্যা করা হয় সালাম,বরকত,রফিক, জব্বার সহ জানা অজানা আরো অনেককে। কেবল ভাষা আন্দোলন বলা ভুল হবে এতে নিহত শহীদানের মাধ্যমে বীজ বপিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। অমর একুশে ফেব্রুয়ারির এই রক্তক্ষয়ী দিনটির পেছনে লেখা হয়ে যায় নানা ইতিহাস। নানা সংগ্রাম ও প্রেক্ষিত। যা আমাদের পথ দেখায় নূতন উদ্দীপনায়। নূতন চেতনায় আমরা পথ চলতে থাকি। আমরা এখন আমাদের ভাষায় কথা বলি। লিখি পড়ি এই ভাষাতেই। আমাদের অগ্রজরা আমাদের দিয়ে গেছে রক্তের ঋণ। ভাষার স্বাধিকার আমরা পেয়েছি ঊনসত্তর বছর আগে। আমরা কবিতা লিখি আমার মায়ের ভাষায়। সাহিত্য চর্চা করি এই বাংলা ভাষায়। বাংলা আমার অনুপ্রেরণা। বাংলা আমার বুক ভরা নি:শ্বাস। ইতিহাসের পাদপীটে দাঁড়িয়ে আজ আমরা পেয়েছি একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে লিখিত মাহাবুবুল আলম চৌধুরীর কবিতা,“কাঁদতে আসিনি ,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”। পেয়েছি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা ঐতিহাসিক গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”। যেটি সুরারোপ করেছেন প্রথমে আবদুল লতিফ ও পরে শহীদ আলতাফ মাহমুদ। এগুলো ছিলো একুশকে নিয়ে প্রথম সৃষ্টি গাঁথা। এই ঊনসত্তর বছর ধরে কতো না সাহিত্য, সঙ্গীত, চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে তার কোন হিসেব নেই। আজকের প্রজন্ম সহ শিশু-কিশোরদের একুশের প্রেক্ষাপট জানতে হবে খুব ভালো করে। বুঝতে হবে মনের মতো করে। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের পথ চলতে হবে।
ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। একুশকে নিয়ে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর বাঙালি জাতি পেয়ে যায় আরেকটি ঐতিহাসিক স্বীকৃতি। ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলাদেশের মর্যাদা আরো বেড়ে যায় বিশ্ব পরিমন্ডলে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ইতোপূর্বে বিশ্বের অপরাপর ৪ হাজার ভাষাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে নূতন করে জানতে শুরু করে। ২০০০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি থেকে সূচিত দিবসটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে সমাদৃত হয়। সেই সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একই সময়ে দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এইজন্যই বলা যায়,রক্ত¯œাত একুশে ফেব্রুয়ারির গৌরবময়তা আজ দেশ ছাড়িয়ে আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে স্থান করে নিয়েছে। কারণ, ভাষার জন্য জীবন বাজি রেখে রক্ত দিয়েছে এমন ঘটনা পৃথিবীতে সত্যিই বিরল। বিশে^ একমাত্র বাঙালি জাতিই বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে মাতৃভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরে পশ্চিমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতি ও ভাষা এ অঞ্চলের মানুষ কোনমতে হৃদয়ে মেনে নেয়নি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে সালাম,বরকত,রফিক,জব্বার সহ নাম না জানা অনেক শহীদের আত্মাহুতির বিনিময়ে বিশ্ব দরবারে বাংলা ভাষা আপন মহিমায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বর্ণমালা বা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিতে হয়েছে বিশ্বে এরকম ঘটনা দ্বিতীয়টি নেই। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পুরো বিশ্বের বাংলা ভাষায় কথা বলা সকল মানুষের জন্য গভীর মমতা ও শোকাবহ ও অর্জনের একটি দিন। এই শোকাবহ দিনটি নিয়ে আজকের প্রজন্মের কাছে নানাভাবে প্রশ্ন আসে কীভাবে বায়ান্নের এই ভাষা আন্দোলন এতো বিখ্যাত হয়ে আছে আমাদের সবার জীবনে। কেবল ইতিহাস নয় মর্যাদার দিক দিয়ে আলাদা ও স্বাতন্ত্র্য অবস্থান করে নিয়েছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। আমরা এখন গৌরবের সাথে বলতে পারি, একুশে ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। রক্তস্নাত একুশে ফেব্রুয়ারির গৌরবময়তা দেশ ছাড়িয়ে আজ বিশ্ব পরিমন্ডলে স্থান করে নিয়েছে। চেতনাগত ও মর্যাদাগত দিক দিয়ে আমাদের ভাষা আন্দোলন ছিলো বহুমাত্রিক মর্যাদার অধিকারী। আজ দেশে দেশে সমাদৃত আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারি। কারণ, এর পেছনে ছিলো আমাদের জাতিসত্ত্বা, সংস্কৃতি, মুক্তবুদ্ধিচর্চা আর হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যগত বিষয়ভিত্তিক জাতিগত প্রেরণা। যার ফলে আমরা বলতে পারি, আমাদের ভাষা আন্দোলন বা শহীদ দিবসের চেতনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপিত হয়েছিলো। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে ভাষার দাবি যেমন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ঠিক তেমনি আমাদের সাহিত্য, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটেছিলো একুশে ফেব্রুয়ারির দিন থেকেই। একুশে ফেব্রুয়ারির আমাদের ঐতিহ্যকে টেনে নিয়ে গেছে বহুদূর। একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে আমাদের বাংলা সাহিত্য হয়েছে অনেক সমৃদ্ধ । কারণ,আমাদের মুখের ভাষা বাংলা। লিখার ভাষা বাংলা। আমাদের সাহিত্য চর্চাও হয় এই এই বাংলা ভাষায়। বাংলা আমাদের অনুপ্রেরণা। এই একুশে ফেব্রুয়ারিকে নিয়ে মাহাবুবুল আলম চৌধুরী লিখেন ১ শ ২০ লাইনের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবিতা,“কাঁদতে আসিনি ,ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি”। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা ঐতিহাসিক গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি” যা আজও একুশের প্রধান গান হিসেবে স্বীকৃত। যেটি সুরারোপ করেছেন প্রথমে আবদুল লতিফ ও পরে শহীদ আলতাফ মাহমুদ। এগুলো ছিলো একুশকে নিয়ে প্রথম সৃষ্টি গাঁথা। চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান রচনা করেন, আরেক ফাল্পুন নামক একুশের প্রথম উপন্যাস। ভাষা আন্দোলনের পর পরই হাসান হাফিজুর রহমান প্রথম একুশের সাহিত্য সংকলন প্রকাশ করেন একুশে ফেব্রুয়ারি নামে। যেখানে স্থান পায় ছোটগল্প,কবিতা ও প্রবন্ধ। যেগুলো ইতিহাসে স্থান পেয়ে যায়। একুশকে ঘিরে আমাদের ঐতিহ্যের ধারক কবি সাহিত্যিকেরা নিরন্তর লিখে গেছেন অজস্্র কবিতা ও সাহিত্য রচনা। একুশকে ঘিরেই মাস ব্যাপী বইমেলা আজ অপার মহিমায় ভাস্বর হয়ে ধরা দেয় আমাদের সবার জীবনে। তবে ইতিহাসের পাদপীঠে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রজন্ম অনেক বেশি বাংলা ভাষা সংস্কৃতি চর্চায় ধাবিত হতে হবে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক ভাষার মর্যাদা অর্জনকারী বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের সম্মান জানানোর প্রসঙ্গটি আমাদের আজকের নবাগত শিশুদের মাঝে তুলে ধরতে হবে। তাদের জানাতে হবে, বোঝাতে হবে। তাহলেই মাতৃভাষা চর্চার সার্থকতা যেমন প্রতিফলিত হবে তেমনি ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতিও মর্যাদা প্রদান সম্ভব হবে। সুতরাং মায়ের ভাষা চর্চার মাধ্যমে শিশুর প্রতিভা বিকাশের পথ প্রশস্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা ভাষা ও জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে একুশের মর্যাদাকে অনেক বেশি সমুন্নত রাখতে সক্ষম হবো। এই উদ্দীপ্ত চেতনাকে আমাদের সঠিক ভাবে লালনের মাধ্যমে বাংলা বর্ণমালা ও ভাষার শুদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। সঠিক ভাবে চর্চা করতে হবে আমাদের সবাইকে।