যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি দুই দশক পর গ্রেপ্তার

32

হাটহাজারী প্রতিনিধি

হাটহাজারীর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিনকে (৪৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। দীর্ঘ ১৮ বছর পলাতক ছিলেন তিনি। গত শনিবার নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন সুগন্ধা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-৭ সিপিসি-২, হাটহাজারী কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত এসপি মো. মাহফুজুর রহমান।
মহিউদ্দিন হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের মন্দাকিনী গ্রামের দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী বাড়ির এলাহী বক্স চৌধুরীর পুত্র। এছাড়া তিনি ‘কুখ্যাত শিবির ক্যাডার নাছির উদ্দীনের’ সহোদর বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় আদালত মহিউদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেছিলেন। এর আগে ২০০১ সালের ১ নভেম্বর নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে নগরীর জামালখানের বাসায় ‘কুখ্যাত শিবির ক্যাডার নাসির গ্যাং’ এর সহযোগীরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১২ জন আসামির মধ্যে মহিউদ্দিনসহ ৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
র‌্যাব-৭ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। এছাড়া অপর ৪ জন আসামি বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। দন্ডিত ৮ জন আসামির মধ্যে ৬ জন কারাগারে আছেন। অন্য ২ জনের মধ্যে ১ জন ইউরোপে এবং ১ জন (মহিউদ্দিন) দুবাই পলাতক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় মহিউদ্দিন দুবাই ছিলেন। মহিউদ্দিন গত বছরের ২৯ অক্টোবর দেশে এসে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, র‌্যাব মহিউদ্দিনের দেশে আসার সংবাদ সংগ্রহ করে। এরপর প্রযুক্তির ব্যবহার ও কঠোর নজরদারির একপর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে, তিনি পুনরায় দুবাই পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করছেন। দুবাই যাওয়ার জন্য গত ২২ জানুয়ারি করোনা টেস্ট’র জন্য সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছিলেন তিনি। এ খবর নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
হাটহাজারী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা জানান, র‌্যাব-৭ সিপিসি-২, হাটহাজারী ক্যাম্পের সদস্যরা মহিউদ্দিন প্রকাশ মহিন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছেন। তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি।