‘যাত্রীদের চাপে’ নষ্ট শাহজালালের থার্মাল স্ক্যানার

31

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার জন্য ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থাপন করা থার্মাল স্ক্যানারটি অচল হয়ে পড়েছে। যাত্রীদের মাত্রাতিরিক্ত চাপেই স্ক্যানারটির এই দশা বলে দাবি করেছেন বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. শাহারিয়ার সাজ্জাদ।
গতকাল মঙ্গলবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে এত চাপ আসে- একসঙ্গে চার-পাঁচশ লোক হ্যান্ডল করা একটু ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। স্বাস্থ্য ডেস্ক হল দুইটি, ছয়জন লোক আছে। তাদের দ্বারা আসলে একটু ডিফিকাল্ট হয়ে যায়। যাত্রীরাও অনেক সময় অধৈর্য্য হয়ে যায়। তারা চাপ সৃষ্টি করে। যার কারণে থার্মাল স্ক্যানারটা ভালো ছিল, সেটাও নষ্ট হয়ে পড়ে’।
এখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে হ্যান্ড ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়েই যাত্রীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান শাহারিয়ার সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ছয়টি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে কারও নভেল করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকলে তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর লক্ষণ না থাকলে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি আবারও বলব, কাউকে যদি হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয় তাহলে সেটা যেন ঠিকমত পালন করেন’।
ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোকে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম ফ্লাইটেই বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। ‘তাদের বলা হয়েছে, যাত্রীরা যাতে তা পূরণ করে এয়ারপোর্টে নামেন। তারা যেন সরাসরি আমাদের হেলথ ডেস্কে ফরম জমা দিতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, ফরম তারা ঠিকমত পূরণ করেননি, যার কারণে হেলথ ডেস্কে আসার পরে সবাই সময় নেয় ফরম পূরণ করার জন্য, এতে আমাদের কাজে বিঘ্ন ঘটে’। খবর বিডিনিউজের
নভেল করোনাভাইরাসের কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সংখ্যা কমে গেছে বলে জানান শাহারিয়ার সাজ্জাদ। তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রতিদিন ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট ১০ থেকে ১৫টি কম উঠানামা করছে। আগে ডমেস্টিক ফ্লাইটসহ ২৪০-২৫০টি ফ্লাইট উঠানামা করত। এখন ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটের চেয়ে ডমেস্টিক ফ্লাইটের সংখ্যা একটু বেড়ে গেছে’।