ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারও ছবি নয় : হাইকোর্ট

14

পূর্বদেশ ডেস্ক

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় সরকারিভাবে নির্মিত ম্যূরালের মূল নকশায় শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেই মূল নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত ম্যূরালে প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়।
এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছে, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের ছবি সাত দিনের মধ্যে অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এর ম্যূরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এই ম্যূরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যূরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। এ নিয়ে দু’টি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ম্যূরালের নকশায় একপাশে বঙ্গবন্ধু ও আরেকপাশে কেবল শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। কিন্তু সেখানে অনুমতি ছাড়াই এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়েছে।
কোন উদ্দেশ্যে এই ছবি যুক্ত করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা চেয়ে ম্যূরাল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানা ট্রেডার্সের সত্ত¡াধিকারী মো. ইজাজুর রহমান রানাকে চিঠি দেন সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান। এরপর এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন মধ্যনগরের অধিবাসী রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ।
ওই রিটের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গতকাল এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি ম্যূরাল থেকে দ্রæত অপসারণ করতে ইউএনওকে নির্দেশ দেয়। খবর বার্তা সংস্থার