মোছলেম উদ্দিন নেতৃত্বের প্রতি অবিচল আনুগত্যের দৃষ্টান্ত : তথ্যমন্ত্রী

12

পূর্বদেশ ডেস্ক

সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদকে কর্মী থেকে নেতা হওয়া এবং নেতৃত্বের প্রতি অবিচল থাকার অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর যে প্রান্তিক নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তার মধ্যে মোছলেম উদ্দিনও ছিলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি’।
গতকাল সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সদ্যপ্রয়াত সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের নামাজে জানাযা শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মন্ত্রী।
দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, চট্টগ্রামের সামশুল হক চৌধুরী এমপি, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ প্রয়াতের জানাযায় অংশ নেন।
প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এমন একজন নেতা হারিয়েছি যার সাথে আমাদের দীর্ঘ কয়েক দশকের সম্পর্ক। তার জীবন থেকে অনেক শিক্ষণীয় আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিভাবে কর্মী থেকে নেতা হওয়া যায়, কর্মীদের সাথে কিভাবে সার্বক্ষণিক থাকা যায় এবং নেত্রী ও নেতৃত্বের প্রতি কিভাবে অবিচল থাকা যায়, সেটি তার কাছ থেকে শেখার আছে’।
ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘মোছলেম উদ্দিন আহমদ আমাদের দলের একজন পোড়খাওয়া কর্মী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তিনি এবং এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এক সাথে পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েছিলেন ও পরে পাগলের অভিনয় করে মুক্তি লাভ করেন’।
ড. হাছান বলেন, ‘তার জীবন কর্মী থেকে নেতা হওয়ার জীবন। তখন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগ ছিলো, মোছলেম উদ্দিন চট্টগ্রাম শহর ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন, এরপর তিনি যুবলীগের সভাপতি হন। তারপর তাকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। দীর্ঘ দুই দশক তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন এবং শেষে এক দশকের বেশি সময় তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন’। খবর বাসসের