মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যপণ্যে সয়লাব খুচরা দোকান

29

ফ্রুট ড্রিংক, প্যাকেটজাত দুধ, আইসক্রিমসহ অনেক খাদ্যপণ্যের মেয়াদ শেষ। খাদ্যপণ্য তৈরির উপকরণেরও নেই মেয়াদ। ওষুধের মূল্যে ঘষা-মাজা করে বেশি দামে বিক্রি।
গতকাল সোমবার নগরের পাঁচলাইশ, হালিশহর ও আকবর শাহ থানা এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিমূলক অভিযানে এমন পণ্যের দেখা মেলে। এ ধরনের ভোক্তা স্বার্থবিরোধী অপরাধের কারণে ৬টি দোকানকে ১ লাখ ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অভিযানে।
এপিবিএন-৯ এর সদস্যদের সহযোগিতায় পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস এবং জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান। খবর বাংলানিউজের
মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ পাস্তুরিত দুধ ও অননুমোদিত আইসক্রিম সংরক্ষণের জন্য মহিম স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, অননুমোদিত ওষুধ সংরক্ষণের জন্য নিউ পপুলার ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা এবং সময়মত পার্সেল ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হওয়া, আনডেলিভারড পার্সেল পুনরায় রিটার্ন না করায় পাঠাও কুরিয়ারকে অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নগরের বেপারীপাড়া ও আকবরশাহ থানায় পরিচালিত অভিযানে বিসমিল্লাহ স্টোরকে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ফ্রুট ড্রিংক সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১৩ বোতল মেয়াদোত্তীর্ণ ফ্রুট ড্রিংক, উৎপাদন মেয়াদবিহীন আইসক্রিম ধ্বংস করা হয়।
নাহার ফার্মেসিকে মূল্য ঘষা-মাজা করে ওষুধ বিক্রি করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করে বর্ণিত ওষুধ আটক করা হয়। সাফামারওয়া রেঁস্তোরাকে মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহার, কাঁচা মাংসের সঙ্গে (মাংসের রক্তের মধ্যে) রান্না করা ও অর্ধ রান্না খাবার সংরক্ষণ এবং ব্যবহৃত নোংরা কাগজের ঠোঙায় খাবার সরবরাহ করায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ এসব খাদ্য ধ্বংস করা হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে লিখিত নির্দেশনা এবং অবিলম্বে তা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে অনুরোধ করা হয়, অন্যথায় প্রতিষ্ঠান বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।