জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষের উদ্বোধনী আয়োজনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় পার্টি। গতকাল রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের ভূমিকার কথা স্মরণ করেই মোদীকে এ দেশে স্বাগত জানানো উচিৎ।
জি এম কাদের বলেন, ‘তার (বঙ্গবন্ধুর) জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন- বাঙালি জাতির জন্য একটি স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ। এ অর্জনে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের জনগণ ও সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছে। আমাদের মহান নেতার জন্মবার্ষিকীতে আমাদের দেশ ও জাতির ভারতীয় জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ ও ধন্যবাদ জানানো অবশ্য পালনীয় কর্তব্য’।
নরেন্দ্র মোদীকে ভারতের জনগণ ও সরকারের ‘প্রতিনিধিত্বকারী’ উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে তার আগমনে আমরা আনন্দিত’। নরেন্দ্র মোদীর সফরে দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে আশাবাদী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। তার এই সফর বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সুমধুর ও বেগবান করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার অনিষ্পত্তিকৃত বিষয়গুলোও ত্বড়িৎ সমাধান সম্ভব হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
বাঙালির স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন আগামি ১৭ মার্চ তার জন্মশত বর্ষের কর্মসূচির শুরু হবে। এরপর থেকে বছরব্যাপি হবে ‘মুজিববর্ষের’ নানা কর্মসূচি।
বঙ্গবন্ধুকে একজন ‘আদর্শ’ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে জি এম কাদের বলেন, ‘প্রত্যেক জাতির সামনে একজন আদর্শ নেতার প্রয়োজন, যার কর্মময় জীবন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসাবে জাতিকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে। বঙ্গবন্ধু সে ধরনের একজন মানুষ। তার জীবনের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করলে নতুন প্রজন্ম দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সামনে চলার অনুপ্রেরণা পাবে এবং তাদের মধ্যে দেশের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি হবে’। খবর বিডিনিউজের
জি এম কাদের বলেন, ‘শেখ মুজিব কোনো দলের একক সম্পদ নয়, তিনি সকল দলের, সকল মানুষের’। শেখ মুজিবুর রহমান স্মরণে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব এখানেই যে, ক্ষমতার বাইরে অবস্থান করেও শুধু দেশপ্রেম, ত্যাগ, সাহসিকতা ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলমত নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে এ ধরনের নেতৃত্ব কখনও কেউ দিতে সক্ষম হন নাই’।
