মিরসরাইয়ে সাবেক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার

133

মিরসরাইয়ে সাগর থেকে সাবেক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীর মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন ইছাখালী খালের বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে নান্নু হোসেন মিয়ার (৫৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।
নান্নু মিয়া সেনাবাহিনীর সাবেক ল্যান্স কর্পোরাল। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের স্টোরকিপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার পশ্চিম গাড়াখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র।
ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের প্রকল্প পরিচালক মেজর (অব.) রেজাউল করিম জানান, গত শুক্রবার মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ৩ নন্বর ইয়ার্ডে চায়না হারবারের লোকজন ওয়াহিদ কন্সট্রাকশনের একটি বোট আটক করে। রাতে বোটটি ফিরিয়ে আনতে নান্নু মিয়াসহ আরও ৮ কর্মকর্তা সাগরে গেলে তাদের উপর চায়না হারবারের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দিলেও নান্নু মিয়াকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা গরম পানি দিয়ে নান্নু মিয়ার শরীর ঝলসে
দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে। এছাড়া নাক, কান কেটে নিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু আমরা নান্নুকে খুঁজে পেতে বিভিন্নভাবে তৎপরতা শুরু করি। কন্সট্রাকশনে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মকর্তারা দুইদিন ধরে নান্নু মিয়াকে খোঁজাখুঁজি করেন। এক পর্যায়ে রবিবার সকালে অর্থনৈতিক অঞ্চল সংলগ্ন মঘাদিয়া ইউনিয়নের বদিউল্যা পাড়ার ইছাখালী খালের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি একটি হত্যাকান্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে এবং কারা এর সাথে জড়িত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার আবেদ আলী জানান, লাশ উদ্ধারের পর নিহতের ভায়রা জিন্নাহ ও স্ত্রী মাবিয়া খাতুন নিহতকে শনাক্ত করেন। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।