মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন নইলে পরিণতি ভয়াবহ

35

মাদক ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, একটি দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করার জন্য মাদকই যথেষ্ট। মাদক এমনি একটি রোগ যা একবার প্রবেশ করলে ধ্বংস অনিবার্য। তাই মাদককে আমাদের না বলতে হবে। মাদক নির্মূলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। কেননা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। যারা মাদক সেবন করবে ও বিক্রি করবে তাদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাউজানে মাদক ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক ব্যবসা ছেড়ে দেন, অন্য ব্যবসা আছে সেগুলো করেন। কোনো ধর্মেই মাদক সমর্থন করে না। তিনি বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বলছি-কঠোর ব্যবস্থা নেব। বিস্তারিত বলতে চাই না। আপনারা দেখেছেন মাদক ব্যবসায়ীদের পরিণতি কী হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সারা বাংলায় কাজ করছি। চাঁদে সাঈদীকে দেখা যায় বলে তাÐব দেখেছি। কয়েকশ’ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তা দমন করেছি। তারপর আমরা জঙ্গিবাদের উত্থান দেখলাম। বান্দরবান, পঞ্চগড়সহ কয়েকটি হত্যা, হলি আর্টিজান, শোলাকিয়ার হামলার ঘটনা দেখেছি। আমরা জঙ্গিবাদ কন্ট্রোল করেছি, দূর করেছি বলবো না।
জঙ্গিদের পরিণতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গিদের লাশ গ্রহণ করেনি পরিবার। আনজুমান মফিদুল ইসলামে দিয়েছি।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, আপনারা যদি আপনাদের ভাই, বোন, ছেলে, মেয়ে কোথায় যায়, কী করে খবর রাখেন তবে জঙ্গিবাদ দূর করা সম্ভব।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, আমরা চাই মানুষ শান্তিতে থাকুক। রাউজান শান্তির জনপদ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমেদ। উপজেলা প্রশাসনের জঙ্গি ও মাদকবিরোধী সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম হোসেন রেজা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিক্সন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খোন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহুবুরর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম এহেসানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাশহুদুল কবির, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজি আবদুল ওহাব। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ, রাউজান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আবদুর রশিদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ, ফৌজিয়া খানম, পৌর প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, শ্যামল পালিত, কাজী মো.ইকবাল, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আহসান হাবিব চৌধুরীসহ ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরবৃন্দ।
এর আগে সকালে রাউজান কলেজের পাশে মাস্টারদা সূর্য সেনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মাস্টারদা সূর্য সেন মেমোরিয়াল ও পাঠাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাস্টারদা সূর্য সেন মেমোরিয়াল ও পাঠাগারের সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত। পরে রাউজান থানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।