মরগান-মালানের কাছে ধরাশায়ী পাকিস্তান

22

টস হেরেও ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর গড়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, ৪ উইকেটে ১৯৫। কিন্তুলক্ষ্যটা খুব সহজে তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতলো ইয়ন মরগানের দল। ৩৩ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে দল জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখলেন অধিনায়ক মরগান নিজেই। অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংসে পাঁচ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ডেভিড মালান। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে মরগানই সেটি সম্ভব করেছেন।
ছয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৬ রান করে হারিস রউফের বলে ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন, স্ট্রাইক রেট ঠিক ২০০। মালানকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়া তার ১১২ রানের জুটিতে জয়টা তখন ছিল মাত্র ১৮ বল দূরে। কিন্তু সপ্তম ওভারে ডিআরএস মরগানকে বাঁচিয়ে না দিলে অন্যকিছু হলেও হতে পারতো। ওই ওভারে পর পর দুই বলে দুই ওপেনার জনি বেয়ারস্টো ও টম ব্যান্টন সুইপ করতে গিয়ে ফেরেন শাদাব খানের লেগ স্পিনে। দলের রান তখন ৬৬। কী অসাধারণ সময়ই না যাচ্ছে ইংল্যান্ডের সাদা বলের ক্রিকেট অধিনায়কের! সর্বশেষ সাতটি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে চতুর্থ ফিফটি করলেন। মরগান-মালান আসলে জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজমের। টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিয়ের এক নম্বর ব্যাটসম্যান বাবর আরেকটি ফিফটি তুলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পূর্ণ করেছেন ১৫০০ রান। কিন্তু মন ছুঁয়ে যায় ৩৯ বছর বয়সী হাফিজের ব্যাটিং। ২৬ বলে ফিফটি ছুঁয়েছেন, ৩৬ বলে ৬৯ করার পথে পাঁচটি চারের সঙ্গে মেরেছেন চারটি ছক্কা। ইংলিশ পেসারদের ইয়র্কার দিতে গিয়ে ফুলটস বানিয়ে ফেলা বলগুলিকে ইচ্ছেমতো শাস্তি দিয়েছেন ‘বুড়ো’ হাফিজ। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিও হবে এই ওল্ড ট্রাফোর্ডে।