ভারত গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তা করবে : ফখরুল

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ভারত সহায়তা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মতিঝিল-পল্টন-শাহজাহানপুর থানার যৌথ উগ্যোগে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ভোলায় নুরে আলম, আব্দুর রহিম ও নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, অবশ্যই ভারতের সঙ্গেও বন্ধুত্ব চাই। আমরা মনে করি, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ। আশা করি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছিল যে ভারত, তারা অবশ্যই এদেশের মানুষের যে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম, যে লড়াই তাতেও সহযোগিতা করবে। খবর বাংলানিউজ’র
তিনি বলেন, আমরা ভাবলাম, প্রধানমন্ত্রী এবার ভারতে গেছেন। আমাদের তিস্তা পানি বন্টন চুক্তির সমাধান হবে, অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আমরা পাব, সীমান্তে হত্যা বন্ধ হবে। আমাদের যে বাণিজ্যে ব্যবধান আছে তা কমে আসবে। আমাদের আরও সুযোগ-সুবিধা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিয়ে আসতে পারবেন। তিনিও যে আশা নিয়ে গিয়েছিলেন, ভারত সেগুলো দিয়ে দেবে। ভারত তো এখন তাদের ওপর খুশি নয়। নৃত্যগীতে ভরপুর একটা সফর দিয়েছেন, সফরটা নৃত্যগীতে ভরপুর ছিল। আমার দেশের মানুষ যখন মারা যাচ্ছে, যখন গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, যখন মাকে তার সন্তান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, তখন তারা জয়পুর বিমানবন্দরে গিয়ে নাচানাচি করছেন। এই দেশের মানুষ এটা ক্ষমা করবে না।
কারণ গণতান্ত্রিক দেশগুলো থেকে আমরা ওটাই আশা করি। একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, বাংলাদেশের ভালোবাসা না নিয়ে, এদেশের মানুষের সমর্থন না নিয়ে এখানে কেউ কখনো কিছু করতে পারবে না। তাই আজকে যে ভয়াবহ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে… তাদের সরাতে হলে আমাদেরকে ইস্পাত দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সব জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে ওদেরকে সরিয়ে এখানে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।