বোমা তৈরির ল্যাব ছিল ফতুল্লার ‘জঙ্গি আস্তানায়’

67

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটসহ বিভিন্ন ইউনিট। ওই বাড়িটিকে নব্য জেএমবির সদস্যরা বোমা তৈরির ল্যাব হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে জানা গেছে।
তবে, সেখানে কেউ থাকতেন না। বাড়িটি থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আইডি, বিস্ফোরক তৈরির উপাদান, খেলনা পিস্তল, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে ফতুল্লার পিলকুনী তক্কারমাঠ এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) জয়নাল আবেদিনের বাড়িটিতে অভিযানটি পরিচালিত হয়। খবর বাংলানিউজের
অভিযানের আগে ভোরে ওই বাড়ির মালিকের দুই ছেলে ফরিদউদ্দিন রুমি ও জামালউদ্দিন রফিক এবং ফরিদউদ্দিনের স্ত্রী অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা জান্নাতুল ফোয়ারা ওরফে অনুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যদিও রুমি ও তার স্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত করে তাদের আটকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মনিরুল বলেন, অভিযানে বাড়িটিতে বিস্ফোরকদ্রব্য পাওয়া গেছে, উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকদ্রব্য দিয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০টি বোমা (আইইডি) তৈরি করা যেতো।
ঢাকা থেকে আরেকজনকে আটক করা হয়েছে ও তার পরিচয় নিশ্চিত নয় বলেও জানান তিনি।
অভিযান শুরুর সময় উপস্থিত পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, বাড়িটিতে প্রবেশ করার পর সেখানে শক্তিশালী কয়েকটি বোমা, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম, আইডি, বিস্ফোরক তৈরির উপাদান, খেলনা পিস্তল, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দেখা যায়। এখানে মূলত বোমা তৈরির ল্যাব হিসেবেই কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো।
এর আগে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে, ১টা ১০ মিনিটে, ১টা ২৪ মিনিটে ও ২টা ৯ মিনিটে সর্বশেষ বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজগুলো শোনা যায়। বিস্ফোরণের পর অভিযানস্থলে আগুন ধরে গেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।