বিয়ে বাড়িতে মারা গেল কনের দাদি

24

পূর্বদেশ ডেস্ক

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বিয়ে বাড়িতে মোহরানা বাবদ দেওয়া কনের গহনা নিয়ে বর ও কনে পক্ষের সংঘর্ষে কনের দাদি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বরসহ ছেলে পক্ষের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কেদার ইউনিয়নের গোলের হাট গ্রামে কনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তহুরন নেছা (৭০)। তিনি কনের আপন দাদি বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ও কনের বাবা নুরজামাল আলী বাদী হয়ে বর রাইসুল ইসলাম রিপনসহ ছেলে পক্ষের ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে কচাকাটা থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুই মাস আগে গোলেরহাট গ্রামের নুরজামাল আলীর মেয়ে জেসমিন আক্তারের সঙ্গে ভ‚রুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের ঘুন্টিঘর এলাকার আলিফ উদ্দিনের ছেলে রাইসুল ইসলাম রিপনের বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ের জন্য বরযাত্রী কনের বাড়িতে আসেন। ভোজন শেষে কনে সাজাতে গিয়ে মোহরানা বাবদ বর পক্ষের দেওয়া গহনার পরিমাণ ও সোনার মান নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় কনের দাদি তহুরন নেছাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। খবর পেয়ে কচাকাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই বর পক্ষের তিন নারীসহ ১১ জনকে আটক করে থানায় নেয়। পরে মামলা হলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
কনের মা রুপালী পারভীন বলেন, বর পক্ষ দু’টি সোনার গহনা দেওয়ার কথা ছিল। কনে সাজানোর সময় একটি সোনার চেইন দেওয়ায় দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া বাধে। পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় আমার শাশুড়ি গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
কনে জেসমিন আক্তার বলেন, আমার চোখের সামনে খাটের স্ট্যান্ড ভেঙে আমার দাদিকে তা দিয়ে পিটিয়েছে বরের লোকজন। আমি এর বিচার চাই। খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
কচাকাটা থানার ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, বিয়ে বাড়িতে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। বরসহ সে পক্ষের ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নিহত বৃদ্ধার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।