বিসিবি অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগীয় ক্রিকেট ওয়াকি-সুমনের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম জেলার সহজ জয়

3

 

মাত্র ১১২ রানের স্কোর নিয়ে জয়ের স্বপ্ন যেখানে প্রশ্নাতীত সেখানে এ পুঁজি নিয়েও ৬৪ রানের বিশাল জয় এক প্রকার অবিশ্বাস্যই বলা যায়। তবে অবিশ্বাস্য এ ঘটনাটিই ঘটিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা অনূর্ধ্ব ১৮ দলের ক্রিকেটাররা, বিশেষ করে বোলাররা। টিম ম্যানেজার শাহ পরাণ নিশানের ভাষায়-‘নোয়াখালীর ব্যাটিং প্যারাডাইসে মাত্র ১১২ রানে অলআউট হওয়ার পর চট্টগ্রামের এসব ক্রিকেটারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আসাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু চাঁদপুরের মত শক্তিশালী টিমের বিপক্ষে শুরুতে ন্যাটা পেসার ওয়াকিউদ্দিনের অসাধারণ, অবিশ্বাস্য এক বোলিং স্পেল প্রতিপক্ষের মেরুদÐ ভেঙ্গে দিয়ে চট্টগ্রামকে চালকের আসনে বসায়। ওয়াকির যে বলটিতে চাঁদপুরের সেরা ব্যাটসম্যানটি বোল্ড হয়েছে তা ছিল ড্রিম বল।
এরপর অফস্পিনার সুমন ক্ষুরধার বোলিং এর সাথে দৃষ্টিনন্দন এক ক্যাচ। সাথে রাতুল ও রেজাউলও তাদের অনুসরণ করে বোলিং করলে চাঁদপুরের ব্যাটিং লাইন তাসের ঘরের মত তছনছ হয়ে মাত্র ৪৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। তখন মনে হয়েছে দিনটি চট্টগ্রামের, বিশেষ করে বোলারদের।’ চট্টগ্রামের টিম ম্যানেজার, সাবেক কৃতি ক্রিকেটার নিশান খেলোয়াড়দের দারুণ বোলিংয়ের পাশাপাশি সারাদিন বিভিন্ন সময় আপডেট রাখা চট্টগ্রামের সিনিয়র সংগঠকদের উৎসাহকেও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেছেন।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম জেলা দল ৪০.৪ ওভারে ১১২ রান তুলতে সবকটি উইকেট হারায়। দলের পক্ষে রাতুল ইরফান ও হিমেল আল মাহমুদ উভয়ে ২২ রান করে দলীয় ইনিংসে যোগ করেন। এছাড়া নওশাদ আল ফাহিম ১৭ রান করেন। চাঁদপুরের পক্ষে তানভীর হাসান ও নাসির আহমেদ তিনটি করে এবং তনয় পাঠান ও অনুরাগ মিত্র দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে চাঁদপুর জেলা দল প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম জেলা দলের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২২.৬ ওভারে মাত্র ৪৮ রানে অলআউট হয়। দলের পক্ষে আবুল মোতালেব সর্বোচ্চ ১০ রান করতে সক্ষম হয়। চট্টগ্রাম জেলা দলের হয়ে সুমন মিয়া তিনটি এবং রেজাউল হোসেন, ওয়াকি উদ্দিন ও রাতুন ইরফান উভয়ে তিনটি করে উইকেট নেন। চট্টগ্রামের পরের ম্যাচ আগামীকাল, শেষ ম্যাচ ২৪ জানুয়ারি।