বিভাগীয় শহর থেকে লংমার্চ কর্মসূচি চান ১১ দলীয় জোট নেতারা

23

পূর্বদেশ ডেস্ক

সরকার পতনে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে কঠোর কর্মসূচি চান ১১ দলীয় জোটের নেতারা। গতকাল সোমবার বিকেলে মতিঝিলের দিলকুশায় এনপিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের কাছে এ দাবি জানান তারা।
জানা গেছে, জোট নেতারা বিএনপির কাছে ঢাকার উদ্দেশ্যে সব বিভাগীয় শহর থেকে লংমার্চ কর্মসূচির দাবি করেন। এছাড়া ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে লাগাতার কর্মসূচির হুঁশিয়ারির কথা বলা হয়। খবর বাংলানিউজ।
যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দল ও জোটের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন নেতারা। তারা ‘চলো চলো ঢাকায় চলো’ ¯েøাগানে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচির দাবিও করেন।
পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের দলসহ সমমনা সব জোট বা দল আন্দোলনে আছি। সকলে মিলে আন্দোলনকে একটি আকাক্সক্ষার পর্যায়ে নিয়ে গেছি। মানুষ এখন একটি দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দাবি করে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন তারা। আসলে তারা গণতন্ত্র জবাই করেছে। এ কথা মনে করিয়ে দিলে তারা অসন্তুষ্ট হয়। পঁচিশ জানুয়ারি বাকশাল দিবস। এই দিনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমরা বলি এই সরকার অগণতান্ত্রিক এই সরকার অনির্বাচিত; এই কথাগুলো প্রমাণের চমৎকার তারিখ হলো ২৫ জানুয়ারি। আমাদের এই সুযোগটা কাজে লাগানোর দরকার।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ। উপস্থিত ছিলেন জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণদলের চেয়ারম্যান এ.টি.এম. গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিম খান এবং বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম.এন. শাওন সাদেকী।