বায়ার্ন-ডর্টমুন্ডের ‘না’ ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নিয়ে তোলপাড়

7

ইউরোপের ১২টি শীর্ষ ক্লাব এমনই এক লিগ আয়োজনের চেষ্টা করছে, আদতে যা ‘বিদ্রোহী লিগ’নামে পরিচিত পাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে সুপার লিগ। ইউরোপিয়ান সুপার লিগ নামের সেই আয়োজনের প্রচেষ্টাকে এরই মধ্যে অবৈধ ঘোষণা করেছে ফিফা ও উয়েফা।
রবিবারই ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাব ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা নতুন এই লিগ মাঠে নামাতে যাচ্ছে। যার প্রথম চেয়ারম্যান হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। অংশ নিতে যাওয়া ১২টি ক্লাব হলো- এসি মিলান, আর্সেনাল, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ, চেলসি, বার্সেলোনা, ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, টটেনহাম ও রিয়াল মাদ্রিদ। সবগুলো ক্লাবই যোগ দিয়েছে প্রতিষ্ঠাকালীন হিসেবে।
অবশ্য এমন বিদ্রোহী লিগ মাঠে গড়ানো নিয়ে ফিফা ও উয়েফা এরই মধ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে। তারা বলেছে, শুধু ক্লাব ফুটবল থেকে নয়, জাতীয় দল থেকেও নিষিদ্ধ হবেন অংশ নেওয়া খেলোয়াড়েরা। এমন পরিস্থিতিতেও সুপার লিগের আয়োজকরা বলছেন, তারা এ নিয়ে ফিফা ও উয়েফার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতেই আগ্রহী। যাতে সার্বিকভাবে ফুটবলের জন্য সেরা ফলাফলটা পাওয়া যায়। কিন্তু শীর্ষ ক্লাবগুলো এমনটা দাবি করলেও বলা হচ্ছে, সুপার লিগ মাঠে গড়ালে হুমকিতে পড়তে পারে চ্যাম্পিয়নস লিগ!
এদিকে, ইউরোপের শীর্ষ ১২টি ক্লাবকে নিয়ে চালু হওয়া ইউরোপিয়ান সুপার লিগে যোগ দেবে না বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। বরং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কাঠামো বদলের পরিকল্পনাকে সমর্থন করবে জার্মানির এই দুই ক্লাব।