বার্ধক্য দূরে রাখে আঙুর

14

হাসিনা আক্তার লিপি

নিয়মিত আঙুর খান আর বয়স ধরে রাখুন। বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখতে যে কয়টি মোক্ষম দাওয়াই এখন পর্যন্ত উদ্ভাবিত হয়েছে আঙুর তার অন্যতম। আঙুরের বীজ ও খোসায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই আপনার শরীরের অক্সিডেশন বা জারন প্রক্রিয়া কমিয়ে দেবে। এতে ক্ষতিকর অণু সঞ্চয় হবে কম। কোষ ও ত্বক থাকবে নবীন। তাই আজই আপনার খাদ্য তালিকায় আঙুর যোগ করতে পারেন। আঙুর খেতে উপাদেয়। ভূমধ্যসাগর ও ইউরোপের নানা এলাকার আঙুরের খ্যাতি আছে। এ দেশে কালো ও সবুজ দুই জাতের আঙুরই পাওয়া যায়। পাকা আঙুর খাওয়ার চেয়ে অনেকে জুস করে খেতে বেশি ভালোবাসেন। আঙুরে রয়েছে ভিটামিন কে, সি, বি-১, বি-৬ এবং খনিজ পদার্থ ম্যাঙ্গানিজ ও পটাশিয়াম। আঙুর যেকোনো রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যাজমা ও হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগপ্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঙুর বার্ধক্য রোধ করে: আঙুরে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা আপনার বার্ধক্য রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আঙুরের বীজ ও খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অতএব দিনে একবার হলেও এক থোকা আঙুর খেতে ভুলবেন না। হার্ট সুস্থ রাখে: আপনি কি আপনার হার্ট নিয়ে ভীষণ চিন্তিত? তাহলে রাতের খাবারের সময় এক গøাস আঙুরের রস খেতে পারেন। দেখবেন এতে আপনার হার্ট সুস্থ থাকবে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে: কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে আঙুরের জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেননা এতে রয়েছে জৈব অ্যাসিড, সেলুলাস ও চিনি, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধে সহায়ক। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়: যারা রক্ত সঞ্চালনের ভারসাম্যহীনতায় ভোগেন তাদের জন্য আঙুরের রস খুবই উপকারী। আঙুরে ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস বিদ্যমান থাকে, যা নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনে সহায়ক ও ইনসুলিন বৃদ্ধি করে। ক্যানসার রোধ করে: আঙুরের জুসে অ্যান্টিঅক্সিডেনন্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রদাহ দূর করে। এই প্রদাহ ক্যানসার রোগ জন্মের প্রধান কারণ। এ ছাড়া আঙুর মাইগ্রেনের সমস্যা রোধ করে।
সতর্কতা: ডায়াবেটিক রোগীরা দিনে ছয়টা পর্যন্ত আঙুর খেতে পারেন, তবে যাঁদের রক্তে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম বেশি আছে বা কিডনির রোগে যাঁরা ভুগছেন তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শমতো খাবেন।

লেখক: ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ল্যাব এইড লিমিটেড (ডায়াগনস্টিক) ও পার্ক ভিউ হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক লিমিটেড, চট্টগ্রাম