বাবুল চেয়ারম্যান, কবির ও জেসমিন ভাইস-চেয়ারম্যান

77

৪র্থ ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল আনারস প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৩৪ হাজার ৩৩৭ টি ভোট পেয়ে তিনি প্রতিদ্ব›দ্বী খোরশেদ আলম চৌধুরীকে (নৌকা) প্রায় ১১ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। নৌকা প্রতীকে খোরশেদ আলম পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬০ ভোট।
অন্যদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন এম. ইব্রাহিম কবির।
তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৪০০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী এম এস মামুন চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৬১ ভোট। আর নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কলসী প্রতীকে জেসমিন আক্তার ৩৩ হাজার ৩১২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেসমিন আক্তার ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৮১ ভোট।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬১টি কেন্দ্রে ১ লাখ ৯০ হাজার ৪৭২ জন ভোটার রয়েছেন। তার মধ্যে শতকরা ৩২ জন ভোটার অংশগ্রহণ করেছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই কম। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে জাল ভোট দিতে এসে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয়েছেন ৪ নারী। গতকাল লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার সময় তাদেরকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল ভোট চলাকালনি সময় দুপুর ২ টার দিকে পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌরস্থান আখতারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন খুরশিদা বেগম, খুরশিদা আক্তার, রেখা আক্তার এবং আনোয়ারা বেগম। মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন জানান, জাল ভোট দেয়ার সময় হাতেনাতে ওই ৪ নারীকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জাল ভোট দেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন তারা। তিনি বলেন, আটক ৪ নারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। আগামিতে এ ধরনের কাজে অংশ নেবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট গ্রহণ সুষ্ঠু এবং নির্বিঘœ করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান মো. রুহুল আমিন।