বান্দরবানে কেএনএফ সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জন রিমান্ডে

5

বান্দরবান প্রতিনিধি

বান্দরবানের রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, অর্থ-অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের ঘটনায় কেএনএফ সদস্য সন্দেহে গ্রেপ্তার ৫২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করে। শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ হাকিম নাজমুল হোসাইন প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক ফজলুল হক। তিনি বলেন, এ ছাড়া এক আসামিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) বিশ্বজিৎ সিংহ জানান, দুটি মামলায় মোট ৫৭ জনকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫২ জনের দুদিনের রিমান্ড এবং একজনকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত। তিনি আরও বলেন, রুমার মোট চারটি মামলার শুনানি ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলায় রিমান্ড শুনানি ছিল। আর দুইটাতে ছিল গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানি। ৫৭ জনকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। কিন্তু রিমান্ড শুনানি হয়েছে ৫৩ জনের।
আসামি পক্ষের আইনজীবী কাজী মহতুল হোসেন যতœ সাংবাদিকদের বলেন, একজন গর্ভবতী হওয়ায় তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
রুমা-থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৬৬ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২ এপ্রিল রাতে এবং ৩ এপ্রিল দুপুরে বান্দরবানের রুমা এবং থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র লোকজন। তারা টাকা লুট করে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করে, একজন ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। টাকার পাশাপাশি লুট করে বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি।
রুমায় সোনালী ব্যাংকে হামলা-ডাকাতি এবং ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণের ঘটনাটি রাতের প্রথম ভাগে ঘটলেও; থানচিতে কৃষি ও সোনালী ব্যাংকে হামলা হয়েছে ভরদুপুরে। দুটি ঘটনাতেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ এর নাম এসেছে; যারা পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিত। এ নিয়ে দুই উপজেলার মানুষের ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে ৪ এপ্রিল রাতে ব্যাপস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিনটি ব্যাংকে ডাকাতি, অর্থ লুটের ঘটনায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ জড়িত বলে জানানো হয়। এরপর থেকে রুমা ও থানচি এলাকায় কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।