বাছাইয়ে বাদ দুই মেয়র ও ৯ কাউন্সিলর প্রার্থী

99

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী ও ডা. শাহাদাত হোসেন বৈধ হলেও বাদ পড়েছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত সব প্রার্থী টিকে গেছেন। বাতিল হয়েছেন বিএনপির এক প্রার্থী। গতকাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পূর্বদেশকে বলেন, যাচাই-বাছাইকালে দুইজন মেয়র প্রার্থী ও নয়জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সকল প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ। সবমিলিয়ে সাতজন মেয়র প্রার্থী, ৫৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও ২১১ জন সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, দুই স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী খোকন চৌধুরী ও তানজির আবেদীনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। সাধারণ কাউন্সিলরদের মধ্যে ৩৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ হাসান মুন্না, ১৫ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আলী আকবর, ১৮ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ তৈয়ব, ১৯ নং ওয়ার্ডে মহিউদ্দিন মাহমুদ রনি, মো. আব্দুল মান্নান, ৭ নং ওয়ার্ডে মো. সোহেল মাহমুদ, ৪ নং ওয়ার্ডে মো. সাইফুল্লাহ খান, ২০ নং ওয়ার্ডে মো. হাফিজুল ইসলাম, ৩২ নং ওয়ার্ডে মো. হাবিবুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এরমধ্যে ২০ নং ওয়ার্ডে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হাফিজুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী।
যাচাই-বাছাইকালে দেখা যায়, মেয়র পদে খোকন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তিনি সমর্থনসূচক যে স্বাক্ষর দিয়েছেন তার মধ্যে দুটি অমিল পাওয়া যায়। দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা স্বাক্ষরগুলোর অমিল পাওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা খোকন চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। একইভাবে তানজির আবেদীনের সমর্থনসূচক পাঁচটি স্বাক্ষরের অমিল পাওয়া যায়। কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হাফিজুল ইসলাম ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও সিটি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি। চারটি ব্যাংকের প্রতিনিধিরাই তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ তুলেন। যাচাইকালে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বিএনপি মনোনীত এই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেন। ৩২ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মো. হাবিবুল্লাহ স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড ব্যাংকের ঋণ খেলাপি। ৩৮ নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হাসান মুন্না খেলাপি ঋণের জামিনদার হওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আকবর যে ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন সে ওয়ার্ডের ভোটারকে সমর্থনকারী না করে ভিন্ন ওয়ার্ড থেকে সমর্থনকারী করায় তার মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়। ১৮ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ তৈয়ব, ১৯ নং ওয়ার্ডের মহিউদ্দিন মাহমুদ রনি, মো. আবদুল মান্নান, ৭ নং ওয়ার্ডের মো. সোহেল মাহমুদ, ৪ নং ওয়ার্ডের মো. সাইফুল্লাহ খান ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়নপত্র অবৈধ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মার্চ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। প্রতীক বণ্টন করা হবে ৯ মার্চ। ৭৩৫টি ভোটকেন্দ্রে আগামী ২৯ মার্চ ভোটগ্রহণ করা হবে।