বাকশাল প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে আওয়ামী লীগ

32

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনে যাতে কোনো বাধা না থাকে সেজন্য গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সরকার অশুভ উদ্দেশ্যে ও প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই তার চিকিৎসা ও মুক্তিতে বাধা দিচ্ছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার দাবি করার পরও সরকার বেগম জিয়ার চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। তারা বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে হত্যা করার পাঁয়তারা করছে।
গতকাল শনিবার সকালে নগর বিএনপির কার্যালয় নাসিমন ভবনস্থ মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতে ভোটে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে পুনরায় বাকশাল প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে।
সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত সকল নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ডা. শাহাদাত বলেন, একই মামলায় অন্য আসামিরা জামিনে থাকলেও খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আপিল বিভাগে স্থগিত হওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। জামিন পাওয়া খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার। অথচ সরকার বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাধাগ্রস্ত করে খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বিলম্ব করছে।
অনশন কর্মসূচিতে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, সরকার একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও মহিয়সী নারীকে অমানবিকভাবে জেলখানায় বন্দি করে বর্বর নিপীড়ন চালাচ্ছে। তার উপর চালানো হচ্ছে পরিকল্পিত নিষ্ঠুর নির্যাতন-যাতে তিনি বিনা চিকিৎসায় কারাগারেই মারা যান। বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ এবং খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে হত্যা চেষ্টা বন্ধ করে আজই তার পছন্দমত বিশেষায়িত ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করুন। তাকে মুক্তি দিন। তিনি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সংগ্রামী জনতাকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান।
মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, সরকার মহা জালিয়তির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব ভুঁয়া মামলায় নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবিলম্বে সকল গায়েবী মামলায় নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দিয়ে ফাইনাল রিপোর্ট দিতে হবে।
মহানগর বিএনপির ৩ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলাকালে দলীয় নেতাকর্মী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সংহতি প্রকাশ করেন। দুপুর ১টায় অনশনরত দলীয় নেতাকর্মীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম ও কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এএম নাজিম উদ্দিন।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এমএ আজিজ, মুহাম্মদ মিয়া ভোলা, মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সাত্তার সরোয়ার, এস.এম আবুল ফয়েজ, জাহেদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক মো. শাহ আলম, ইসকান্দার মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহিন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাহেদ বক্স, শামসুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, ইসহাক চৌধুরী আলিম, মো. শাহ আলম, সম্পাদকবৃন্দ এড. সিরাজুল ইসলাম, মাহমুদ আলম পান্না, এম.আই চৌধুরী মামুন, নুরুল আক্তার, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, আব্দুল নবী প্রিন্স, মো. আলী, জিয়া উদ্দিন খালেদ চৌধুরী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মো. সেকান্দার, আব্দুল্লাহ আল হারুন, নগর বিএনপির সহ-সম্পাদকবৃন্দ আব্দুল হালিম স্বপন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. ইদ্রিস আলী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন, আবু মুছা, আব্দুল হাই, আবুল খায়ের মেম্বার, বেলায়েত হোসেন বুলু, জেলি চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, সালাউদ্দিন লাতু, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন জিয়া, নূর হোসেন, শরিফ উদ্দিন খান, আব্দুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সদস্য রেজিয়া বেগম মুন্নি, আঁখি সুলতানা, ইউসুফ সিকদার, আতিকুর রহমান, মো. তসলিম হোসেন, নাছির মোহাম্মদ, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস.এম মফিজুল্লাহ, মো. ইলিয়াছ, আব্দুল্লাহ আল ছগির, মো. বেলাল, খন্দকার নুরুল ইসলাম, ফারুক আহমদ, মো. আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, আবুল কালাম আবু, জসিম মিয়া, জাহেদুল্লাহ রাশেদ, মো. কামরুল ইসলাম, মোস্তাক আহমদ, মো. এমরান উদ্দিন, মনজুুুরুল কাদের, এস.এম আজাদ, অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শেখ রাসেল, নাসিম চৌধুরী, ম হামিদ, মো. মুছা, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মো. হুমায়ুন কবির, এরশাদ হোসেন, নুরুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, শাহনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মনোয়ার হোসেন মানিক, আসাদুর রহমান টিপু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, মো. নওশাদ, আলাউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, সালাহ উদ্দিন, মো. ইদ্রিস প্রমুখ।