বাঁশখালীতে মারধর কান্ডে ৫ ইউপি সদস্য বরখাস্ত

19

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাঁশখালীর পুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সচিব জাকের আহমদকে মারধরের অভিযোগে পাঁচজন ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৬ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ)(ঘ) ধারায় তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়। একইসাথে অভিযুক্তদের কেন চূড়ান্তভাবে অপসারণ করা হবে না পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে জবাব পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পাঁচ ইউপি সদস্য হলেন- পুকুরিয়ার ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আমজাদ হোসেন, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. মনির উদ্দীন, ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ আহমদ, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান এবং ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুনুর রশিদ।
স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯-এর ৩৪ (৪) (খ) (ঘ) ধারায় চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ বিষয়ে উল্লেখ আছে, চেয়ারম্যান বা সদস্য তাঁহার স্বীয় পদ হইতে অপসারণযোগ্য হইবেন, যদি তিনি অসদাচরণ বা ক্ষমতার অপব্যবহারের দোষে দোষী হন অথবা পরিষদের কোন অর্থ বা সম্পত্তির কোন ক্ষতি সাধন বা উহার আত্মসাতের বা অপপ্রয়োগের জন্য দায়ী হন।
জানা যায়, গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাকের আহমদের কক্ষে ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে প্রবেশ করে তার সাথে পরিকল্পিতভাবে তর্কে লিপ্ত হন পাঁচ ইউপি সদস্য। ইতোপূর্বেও অভিযুক্ত সদস্যরা এই ইউপি সচিবকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করেছেন। ঘটনার দিন সরকারি দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সচিবকে বেধড়ক কিলঘুষি, লাথি মারতে থাকেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চেপে ধরে বুকে পিঠে মারাত্মক জখম করেন। এই ঘটনার ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে পড়লে পরদিনই বাঁশখালী ইউপি সচিব সমিতির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জড়িতদের শাস্তি দাবি করে স্মারকলিপি দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রেরিত চিঠির আলোকে ব্যবস্থা নিয়েছেন জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসকের সুপারিশের ভিত্তিতে পাঁচ ইউপি সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
­