বাঁশখালীতে পাউবো’র ১১ কোটি টাকার প্রকল্প

112

 

নয়টি উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাঁশখালীর পুঁইছড়ি অংশে শুরু হচ্ছে পুনর্বাসন ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের কাজ। ১১ কোটি ২৮ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। জিওবি ফান্ডের অর্থায়নে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে এলাকার পানি নিষ্কাশন, কৃষি উৎপাদন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধনের পাশাপাশি পর্যটনেও সুবিধা বাড়বে। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খ.ম জুলফিকার তারেক পূর্বদেশকে বলেন, চলতি মাসেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ২০২০সাল নাগাদ কাজ শেষ করতে আমরা চেষ্টা করবো। প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মঞ্জুরুল আলম পূর্বদেশকে বলেন, ‘পাঁচটি প্যাকেজে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে চারটি গ্রুপের টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি খাল নতুন করে নকশা করার কারণে এখনো টেন্ডার করা হয়নি। চলতি মাসেই ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দিয়ে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। তবে এখনো ঠিকাদার কারা থাকছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
পাউবো সূত্র জানায়, বাঁশখালী উপজেলাধীন পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পোল্ডার নং ৬৪/২এ (পুঁইছড়ি পার্ট) এর পুর্নবাসন ও নিষ্কাশন প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ২৮ আগস্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। গত বছরের ২ আগস্ট প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এ প্রকল্পের আওতায় খালের পানি সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য একটি দুই ভেন্ট রেগুলেটর, ক্ষেতের ফসলকে অনাকাক্সিক্ষত বন্যার কবল থেকে রক্ষায় নয় কিলোমিটার বাঁধে মাটির কাজ (পুনঃসংস্কার), সেচ সুবিধার্থে মিঠা পানির প্রবাহ সঠিক রাখতে নাপোড়া ছড়া খাল, ফুটখালী খাল, ছেমটখালী খাল ও হরি খালের ১৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে।
প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬৬৭ হেক্টর অংশের নিষ্কাশন ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন, কৃষি উৎপাদন ও অন্যান্য আয় বর্ধক কার্যক্রমে গতি সঞ্চালন, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও দারিদ্র বিমোচন, বন্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জানমাল ও ফসল সংরক্ষণ করা, পরিবেশ রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটন সুবিধা সৃষ্টি করা, প্রকল্প এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়তে গতি বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্র নিয়ে প্রকল্পটি প্রস্তুত করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দুইজন ঠিকাদার জানান, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্বেও এ প্রকল্পের কাজ ভাগিয়ে নিতে বাঁশখালীর কয়েকজন ব্যক্তি পানি উন্নয়ন বোর্ডে তৎপর রয়েছেন। তাদেরকে কাজ দিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও তদবির করছেন। এসব ঠিকাদারকে কাজ দেয়া হলে শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারের টাকাই পানিতে যাবে।
বাঁশখালীর পুঁইছড়ি এলাকার বাসিন্দা মফজল আহমদ পূর্বদেশকে বলেন, প্রকল্পের কাজ যাতে সঠিক হয় সেজন্য আমরা সজাগ থাকবো। অনভিজ্ঞ কোন ঠিকাদার যাতে এ প্রকল্পের কাজ না পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভালোমানের ঠিকাদার কাজ পেলে কাজের মান সঠিক থাকবে। কোন উপ-ঠিকাদার কিংবা অখ্যাত ঠিকাদার যাতে এ কাজ না পায় সেজন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।