বলী খেলার পরিবর্তিত ভেন্যু পরিদর্শন করলেন মেয়র

8

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে দেশের যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বদরপাতির আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা যা পরবর্তীকালে খেলা ও মেলায় পরিণত হয়। বাংলা পঞ্জিকার বৈশাখের ১২ তারিখে বলী খেলাটি আব্দুল জব্বারে বলী খেলা হিসেবে খ্যাতি লাভ করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মেলা বন্ধ থাকার পর এবার বসবে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার আসর।আগামী ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিন বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১২ বৈশাখ অর্থাৎ ২৫ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বলী খেলা চলবে। জেলা পরিষদের চত্বরে ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের মঞ্চ করে বলী খেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে মেয়র জানান। গতকাল রোববার দুপুরে লালদিঘি মাঠে বলী খেলা ও মেলার স্থান পরির্দশনকালে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লা চৌধুরী, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, পুলক খাস্তগীর, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত, মেলা কমিটির সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, সদস্য সচিব শওকত আনোয়ার বাদল, সাবেক কাউন্সিলর জামাল উদ্দিন, বলী খেলার রেফারি ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক, মো. চঞ্চল, মো. ইউছুপ, জিয়াউল হক সোহেল, কোতেয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
মেয়র বলেন, জব্বারের বলী খেলা শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে আমাদেরকে সকলের সহযোগিতা করতে হবে। সময় স্বল্পতার কারণে স্পন্সরের বদলে মেলা আয়োজনের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বহন করবে। তিনি বলেন, মেলায় সাথে আমাদের প্রান্তিক গ্রামের অর্থনীতির নিবিড় সর্ম্পক রয়েছে। বৈশাখ মাসকে ঘিরে মেলায় নানাবিদ শৈল্পিক ও গৃহস্থালী পণ্য বিক্রি করার জন্য গ্রামের হস্ত শিল্পের কারিগররা ব্যস্ত থাকেন। অন্য দিকে নানা খাবারের পসরা তৈরিতেও তারা ব্যস্ত সময় কাটান।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে তাদের উৎসাহ ও জীবন জীবিকার স্বার্থ বিবেচনায় এই মেলার আয়োজন। মেলার আগের যে জৌলুস ছিল, এখনো সবকিছুই থাকবে।
ঐতিহ্যবাহী এ আয়োজনে রাজনীতিবিদ, প্রশাসনসহ সবার সহয়োগিতা প্রত্যাশা করেন মেয়র রেজাউল।