বনজসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ

16

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে স্বীকারোক্তি আদায়ে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধানসহ ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বেগমের আদালত এই আদেশ দেন। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে আইনজীবীরা আবেদনটি করেন। ওইদিন আদালত গত সোমবার আদেশের তারিখ ধার্য করেন। ওইদিন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ছুটিতে থাকায় গতকাল রোববার আদেশের জন্য তারিখ ধার্য ছিল।
মামলার আবেদনে বিবাদী করা হয়েছিল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বর্তমান প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, পিবিআইর মেট্রোর ইনচার্জ পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক ও বর্তমানে নগরের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা, পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার সাবেক পরিদর্শক এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও পিবিআই পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবিরকে।
এই বিষয়ে মহানগর পিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বাবুল আক্তার সাবেক পুলিশ সুপার। তাকে একজন পরিদর্শক নির্যাতন করার কোনও সুযোগ নেই। প্রায় ১ বছর ৫ মাস পরে এসে তিনি অভিযোগ করেছেন। বাবুল আক্তারকে এর আগে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল, তখন অভিযোগ করেননি। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন আদালতে জামিন আবেদন করেছেন, তখনও কোনও আদালতে অভিযোগ করেননি।
অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, মিতু হত্যা মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আদালত মনে করেছেন- মিতু হত্যা মামলার আসামি হিসেবে চলমান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করার জন্য এই আবেদন করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বাবুল আক্তারের আইনজীবী কফিল উদ্দীন জানান, সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ন্যায়বিচার পাননি, আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবো।
এদিকে ফেনী কারাগারে ওসি নিজাম উদ্দিন কর্তৃক বাবুল আক্তারের কক্ষ তল্লাশি করার অভিযোগ তুলে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে করা আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা বেগম এ আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এই বিষয়ে মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, সংশ্লিষ্ট আদালতের কাছে প্রতিয়মান হয় যে- এটা ভিন্ন আদালতের এখতিয়ার। আসামি তার হত্যা মামলা ভিন্নখাতে নেওয়ার জন্য এবং সুবিধা পাওয়ার জন্য এসব আবেদন করে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এ কারণে আদালতের কাছ থেকে উল্লেখিত সিদ্ধান্ত এসেছে।