বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করুন

15

আগস্ট মাস আসলেই জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার ধুম পড়ে যায় সারাদেশে। এসময় বঙ্গবন্ধু ভক্তের দেশে কিংবা বিদেশে অভাব হয়না কিন্তু মনে প্রশ্ন জাগে এসব ভক্তের মধ্যে কয় জনইবা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারন করে। আর কয় জনইবা বঙ্গবন্ধু বিষয়ে খুব ভালো করে জ্ঞান রাখে। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন ছিলো গরীব ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করা এবং দেশকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত করা যাতে বিদেশের ওপর তেমন একটা নির্ভর করতে না হয়। আজ যারা বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীতে ফুল দেয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করছেন তারা জানেন কী বঙ্গবন্ধু কোনোকিছুতে অপচয় এবং বাড়াবাড়ি পছন্দ করতেননা? তিনি সবসময় একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবনযাপন করতেন ? একজন প্রেসিডেন্ট হয়েও বাড়িতে একটি সাধারণ সাদা বোগলকাট হাফহাতা গেঞ্জি এবং লুঙ্গি পরেই থাকতেন ? জীবনে সবকিছু উজার করে দিয়ে যে মানুষটি বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষকে মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছিলেন তাহলে সেই মহামানবকে কেনইবা আমরা গুটিকয়েক খুনিদের হাত থেকে বাঁচাতে পারলান না ? এর দায় কী আমরা কখনও এড়িয়ে যেতে পারি ?
আজ অনেকেই বঙ্গবন্ধুর চেতনা বিকিয়ে রাজনীতি করেন এবং এদের মধ্যে অনেকেই আবার শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন এবং সমাজের হত্তাকর্তা বিধাতা হয়ে গেছেন এরা কী সত্যিকারভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারন করে রাজনীতি করেন? নাকী এরা ঈশা দিনে ঈশা আর মুছার দিনে মুছা পার্টি। এখন আওয়ামীলীগের সুদিনের সময় অনেক কট্টরপন্থী আওয়ামীলীগ বিরোধীদের মুখে বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার নাম নিতে দেখা যায় এসব চিহৃিত কট্টরপন্থী এবং সুবিবাজরা যখন বঙ্গবন্ধুর এবং শেখ হাসিনার নামে জয়োধ্বনি করে তখন আমার মনে হয় ভুতের মুখে রাম নাম। প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে হৃদয়ে ধারন না করে আওয়ামীলীগে এই সুদিনে যারা বঙ্গবন্ধুর জন্য কেঁদে বুক ভাসাচ্ছেন তারা আসলে কারা একটু তলিয়ে দেখলেই বুঝা যায়। এরা শ্রেফ রাজনীতিতে বোল পাল্টানো কিছু ক্ষণিকের মৌমাছি এরা এখন আওয়ামীলীগে মধু আছে দেখে আশেপাশে অবিরামভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে এদের অতিতে কখনও মাঠের রাজীতিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি ভবিষ্যতে পাওয়া যাবেনা। তাই আওয়ামীলীগের নীতিনির্ধারনদের আগেভাগেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন এবং প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে ধারন করে এমন রাজনৈতিক কর্মিদেরই মাঠ থেকে কেন্দ্র পর্যায়ে মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।