ফের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব

34

নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরেই আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থানের পদটা ফিরে পেলেন সাকিব আল হাসান। নিষিদ্ধ হওয়ার সময়ও শীর্ষে ছিলেন তিনি। তবে ক্রিকেট থেকে এক বছর নিষিদ্ধ থাকায় আইসিসি তার নামটি কেটে দেয়। কিন্তু পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজ (২-১) শেষে গতকাল বুধবার ওয়ানডের নতুন র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। যেখানে ৩৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে নিজের জায়গা পুনরুদ্ধার করলেন এই বাঁহাতি তারকা। এর আগে জুয়াড়ির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় গত বছরের ২৮ অক্টোবর এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব। র‌্যাঙ্কিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ক্রিকেটার এক বছর বা তার বেশি সময় নিষিদ্ধ হলে র‌্যাঙ্কিংয়ের বাইরে রাখা হয় তাকে। তিন সংস্করণেই র‌্যাঙ্কিং থেকে তাই কাটা পড়ে সাকিবের নাম।
তখন ওয়ানডেতে সাকিবের জায়গায় শীর্ষে উঠে যান আফগানিস্তান তারকা মোহাম্মদ নবী। তবে সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় অবশ্য কেবল তিনটি ওয়ানডে ম্যাচই খেলেছে আফগানিস্তান, সেটিও গত বছরের নভেম্বরে। এবার তাকে হটিয়ে শীর্ষে জায়গা করে নিলেন সাকিব। সাকিবকে ফের জায়গা দিয়ে এই আফগান অলরাউন্ডার নেমে গেছেন দুইয়ে। রেটিং পয়েন্টে সাকিবেরে চেয়ে অনেকটা পেছনে তিনি (৩০১)। ২০০৯ সালে অবশ্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে নিজের রেকর্ড ৪৪৭ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছিলেন সাকিব।
র‌্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমে আছে যথাক্রমে নবী, ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও বেন স্টোকস এবং পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম। ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিব যৌথভাবে ২১তম স্থানে তামিম ইকবালের সঙ্গে। ১৬তম স্থানে থেকে এখন বাংলাদেশের সবার ওপরে মুশফিকুর রহিম। বোলারদের র‌্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের অবস্থান ২৮। এখানে বাংলাদেশের সবার ওপরে মেহেদী হাসান মিরাজ (১৪তম)।
এছাড়াও মুস্তাফিজুর রহমান আছেন ১৯তম স্থানে। নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির পর টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির পরবর্তী হালনাগাদে এই দুই সংস্করণেও র‌্যাঙ্কিংয়ে ফিরবেন সাকিব। র‌্যাঙ্কিংয়ের এই হালনাগাদে ব্যাটিং ও বোলিংয়ের সেরা জায়গাগুলোতে নেই কোনো বদল।