ফটিকছড়িতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও দ্বিগুণ সরিষা ফলনের আশা

20

মো.এমরান হোসেন, ফটিকছড়ি

চাষ বেশি লাভজনক হওয়ায় দিনদিন সরিষার আবাদের দিক ঝুঁকছে ফটিকছড়ি উপজেলার কৃষকরা । চলতি রবি মৌসুম এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার কোনো বিরূপ আচরণ দেখা না দেয়ায় সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন এখানকার কৃষকরা।
সরজমিন দেখা গেছে, উপজলার মাঠে-প্রান্তে যেদিকে চোখ যাচ্ছে হলুদ রঙের সরিষা ফুলের চোখ ধাঁধাঁনো বর্ণিল সমারোহ হৃদয়-মন তৃপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আর মৌমাছিসহ বিভিন্ন পাখির গুণগুণ শব্দ ফুলের মধু সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই যেন মনোমুগ্ধকর। সরিষা ফুলের ঢেউয়ে কৃষকের মনও যেন দুলছে।
কৃষকরা জানান, চলতি রবি মৌসুম এখন পর্যন্ত প্রকৃতি বৈরি আচরণ না করায়, চাষের পরিবেশ অনুকূল থাকায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে। যথাসময় ঘর তুলতে পারলে সরিষার ভালো বিক্রয়মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ফটিকছড়ির নাজিরহাট পোরসভার দৌলতপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল আবেদীন বলেন, শুরুর দিক পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও ঔষধ প্রয়োগ করে রোগ-বালাইমুক্ত রাখা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরে ভোজ্যতেলের যে চাহিদা রয়েছে আগামী তিন বছরের মধ্যে সেই চাহিদার ৪০-৫০ শতাংশ মেটানো হবে সরিষার তেল দিয়ে। আর এই লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চলতি বছর থেকেই সরিষার চাষ বাড়ানোর উপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
নাজিরহাট আদর্শ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নাছির উদ্দীন বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সাথে দেশেও ভোজ্যতেলের দাম লাগামহীন হয়ে পড়ার কারণে গ্রাম এবং শহর- সবখানেই সরিষার তেলের চাহিদা তুলনামূলক বেড়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান বলেন, কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে কৃষি অফিস। কৃষকদের উন্নত মানের বীজ দেয়া হয়েছিল। এবার রবি মৌসুমে ২৫০ হেক্টর জমিত সরিষার আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।