তুষার দেব
শহুরে জীবনে এবার শীতের উপস্থিতি ছিল একেবারে হাতে গোণা ক’দিন। মাঘের প্রথম পক্ষেই অঘোষিতভাবে বিদায় নিয়েছে শীত। আর তখন থেকেই ভোরের আলো ফোটার আগে কানে ভেসে আসছে কোকিলের কুহুতান। বৃক্ষরাজির ডালে ডালে নতুন পত্রপল্লব আর বাহারি ফুলের মোহনীয় রূপকে সঙ্গী করেই প্রকৃতিতে হাজির হয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত। বাংলা বর্ষপঞ্জি সংশোধন করায় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ থেকে দেশে পয়লা ফাল্গুনে বসন্ত-বরণ এবং ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একইদিনে উদ্যাপিত হচ্ছে। যাপিত জীবনে দুই পুস্পময় উপলক্ষ বাসন্তী রংয়ের আভা ছড়িয়ে শ্রেষ্ঠতম মানবিক অনুভ‚তির সাথে যুগপৎভাবে অনন্য ব্যঞ্জনায় ধরা দিয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্ভেদ্য, কোমল, কাঙ্খিত ও দূরন্ত এক মানবিক অনুভ‚তির নাম হচ্ছে ভালোবাসা। ভলোবাসা যে বিশ্ববিধাতার অপার সৃষ্টির প্রাথমিক ও সর্বোত্তম উপাদান, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিশ্ব চরাচরের মহান প্রতিপালক অসীম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন তাঁর সৃষ্টিক‚লে। এর মধ্যে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসা ও দরদ দিয়ে সৃৃষ্টি করেছেন মানব জাতিকে। জনম জনম ধরে তাই ভালোবাসা নামের মানবিক অনুভূতি সবকিছুকে তুচ্ছ করে নিজের শ্রেষ্ঠত্বকে স্ব-মহিমায় উদ্ভাসিত করেছে। ভালোবাসার ব্যাপ্তি এতই বিশাল যে সারা জীবন ব্যয় করেও এর সীমা-পরিসীমা নির্ধারণ করা মানুষের পক্ষে কঠিন। মানুষে-মানুষে কেবলমাত্র ভালোবাসার অসীম শক্তিই সমস্ত রকমের বিভেদ-বৈষম্যকে পরাভূত কিংবা জয় করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। তাই পৃথিবী নামের গ্রহে মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে নিজের মানুষ পরিচয় অর্জনের জন্য ভালোবাসাই হচ্ছে সর্বজয়ী শক্তির নাম। এই ভালোবাসা নামের সর্বজয়ী উপাদান মানবক‚লে বেশি পরিমাণে দিয়েছেন বলেই সৃষ্টিকর্তা নিজেও সবচেয়ে বেশি থাকেন মানুষের মধ্যে। এজন্য সৃষ্টিকর্তা মানুষকেই তাঁর সৃষ্টির সেরা জীবের মর্যাদাও দিয়েছেন। নির্মোহ ভালোবাসায় সবই আছে এবং হয়। আর ভালোবাসার অসীম শক্তি দিয়েই বিশ্বজয় তো বটেই, সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যও লাভ করা সম্ভব বলে উল্লেখ রয়েছে মহাগ্রন্থগুলোতে।
বছর পরিক্রমায় বাঙালির চিরায়ত উৎসবের অন্যতম আগুন ঝরা প্রেমের ফাগুন কিংবা ঋতুরাজ বসন্ত এসেছে আজ। একইসাথে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে আসা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে যুগলবন্দী রচনা করেছে পয়লা ফাল্গুনে। প্রতিবছর ১৪ ফেব্রুয়ারি দেশে দেশে এই দিবসটি পালন করা হয়। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জন্ম হয়েছে একে অন্যকে ভালোবাসার জন্য। মানুষের মনের সব ধরণের পশুবৃত্তি মানবসভ্যতার জন্য যেমন লজ্জাষ্কর, তেমনি তা দেখতে মানুষের মত হলেও অমানুষের পরিচয়ই বহন করে। তাই কোনো পশুবৃত্তি বা বেহায়াপনা যেমন নয়, তেমনি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে মানে এটাও নয় যে, ব্যক্তির হৃদয়ের সমস্ত ভালোবাসা জমা করে কেবল ১৪ ফেব্রুয়ারিতেই উদ্যাপন করতে হবে। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানুষমাত্রই একে অন্যের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ ও পরিচয় দিতে হবে প্রতিক্ষণে বা প্রতিমূহুর্তে, প্রতিদিনের প্রতিটি কাজে। তাহলেই ১৪ ফেব্রæয়ারি ভালোবাসার দিন হিসেবে পবিত্র সম্মানে সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে।
বিশ্বজুড়ে ভ্যালেন্টাইন্স ডে বা ভালোবাসা দিবস পালন করা হচ্ছে তার পেছনে অনেক ইতিহাস রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রয়েছে মতপার্থক্যও। নানা গ্রন্থ পাঠ ও অন্তর্জাল ঘেঁটে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, প্রায় সাড়ে সতেরশো বছর আগের একজন রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের কথা। ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ইতালির রোম শাসন করতেন রাজা ক্লডিয়াস-২। তখন রাজ্যে চলছিলো সুশাসনের অভাব, আইনের অপশাসন, অপশিক্ষা, স্বজন-প্রীতি, দুর্নীতি এবং কর বৃদ্ধি। এতে সাধারণ জনগণ ফুঁসছিল। রাজা তার শাসন অক্ষুন্ন রাখতে রাজ দরবারে তরুণ-যুবকদের নিয়োগ দিলেন। আর যুবকদেরকে দায়িত্বশীল ও সাহসী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে তিনি রাজ্যে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করলেন। কারণ, রাজা বিশ্বাস করতেন বিয়ে মানুষকে দূর্বল ও কাপুরুষ করে। বিয়ে নিষিদ্ধ করায় পুরো রাজ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ সময় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামক জনৈক যাজক গোপনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন; তিনি পরিচিতি পেলেন ‘ভালোবাসার বন্ধু’ নামে। কিন্তু তাকে রাজার নির্দেশ অমান্য করার কারনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে আটক করা হয়। কারাগারে থাকাকালীন ভ্যালেন্টাইনের সাথে পরিচয় হয় কারারক্ষী আস্ট্রেরিয়াসের সাথে। আস্ট্রেরিয়াস জানত ভ্যালেন্টাইনের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পর্কে। তিনি তাকে অনুরোধ করেন তার অন্ধ মেয়ের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিতে। ভ্যালেন্টাইন পরবর্তীতে মেয়েটির দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেন। এতে মেয়েটির সাথে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের অন্তরঙ্গ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। রাজা তার এই আধ্যাত্মিকতার সংবাদ শুনে তাকে রাজ দরবারে ডেকে পাঠান এবং রাজকার্যে সহযোগিতার জন্য বলেন। কিন্তু ভ্যালেন্টাইন বিয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা না তোলায় সহযোগিতায় অস্বীকৃতি জানান। এতে রাজা ক্ষুব্ধ হয়ে তার মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করেন। মৃত্যুদন্ডের ঠিক আগের মূহুর্তে ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীদের কাছে একটি কলম ও কাগজ চান। তিনি মেয়েটির কাছে একটি গোপন চিঠি লিখেন এবং শেষাংশে বিদায় সম্ভাষণে এমন একটি শব্দ লেখেন যা হৃদয়কে বিষাদগ্রস্ত করে। অতঃপর ২৭০ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। সেই থেকে সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’ পালন করা হয়।
ভিন্ন মতে, প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪ ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোনো বিয়ে সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায় র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত। এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাঙ্কিত কাগজের স্লিপ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা স্লিপের তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা বছরের জন্য স্থায়ী হতো এবং ভালোবাসার সিঁড়ি বেয়ে বিয়েতে গড়াতো। ওই দিনের হাত ধরেই প্রচলন শুরু হয় আজকের এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র।
দেশে বছরের অন্যান্য অসংখ্য দিবসের মত বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদ্যাপিত হচ্ছে বিগত আড়াই দশকেরও বেশি সময় ধরে। ইন্টারনেটের যুগে ভালোবাসার পোস্ট কার্ডের পরিবর্তে ই-কার্ড, এসএমএস বা ই-মেইলের ব্যবহারই বেশি করা হয়। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে বিভিন্ন ওয়েবসাইট পরস্পরের সাথে শেয়ার করার মত নানা উপকরণে সমৃদ্ধ করে সাজানো হয়। এসব সাইট থেকে যেমন ই-কার্ড পাঠানো যায়, তেমনি ভালোবাসার এসএমএস, কবিতা ইত্যাদি সংগ্রহ করা যায় ১৪ ফেব্রæয়ারি সারা দিন মুঠোফোন, ফেসবুক ও টুইটারে শুভেচ্ছা বিনিময় চলে।
বসন্তবরণের আয়োজন : পয়লা ফাল্গুনে বসন্তবরণ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার নগরীর সিআরবি শিরীষতলায় প্রমা আবৃত্তি সংগঠন এবং আন্দরকিল্লা সিটি কর্পোরেশন চত্বরে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে বোধন আবৃত্তি পরিষদ। বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গনেও আয়োজন রয়েছে বসন্ত-বরণের। বসন্ত উৎসব ও ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে নগরীর ফয়’সলেক সী ওয়ার্ল্ড, বাটারফ্লাই পার্ক, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, নেভাল একাডেমি, আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের পাশাপাশি র্যাডিসন বøু বে ভিউ, হোটেল আগ্রাবাদ, দি পেনিনসুলা চিটাগাং ও ওয়েলপার্কসহ তারকাখচিত হোটেলগুলোতে কনসার্টসহ নানা আনন্দ-আয়োজন ছাড়াও রয়েছে বিশেষ প্যাকেজ।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি : বিকাল পাঁচটায় নগরীর এম এম আলী রোডের শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। ‘আজ সবার রঙে রঙ মিশাতে হবে, ওগো আমার প্রিয়, তোমার রঙিন উত্তরীয়..’ শিরোনামে এই আয়োজনে সকলকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রমা আবৃত্তি সংগঠন : চট্টগ্রামের প্রথম সারির আবৃত্তি সংগঠন প্রমা বসন্ত বরণ উৎসবের আয়োজন করেছে নগরীর সিআরবির শিরীষতলায়। আজ মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে শুরু করে রাত নয়টা পর্যন্ত শিরীষতলার মুক্তমঞ্চে চলবে বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানমালা। আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য, কবিতাপাঠ, যন্ত্রসংগীত, আলপনা উৎসব ও শোভাযাত্রার কর্মসূচি রয়েছে প্রমার আয়োজনে।
বোধন-এর বসন্ত উৎসব : বোধন আবৃত্তি পরিষদ ‘নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে’ শিরোনামে নগরীর আন্দরকিল্লা সিটি কর্পোরেশন চত্বরে ঋতুরাজ বসন্তবরণ উৎসবের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে সকাল আটটা থেকে রাত আটটা বসন্ত আবাহন, শোভাযাত্রা, আবৃত্তি, সঙ্গীত, যন্ত্রসঙ্গীত, নৃত্য, পিঠাপুলির মেলার কর্মসূচি রয়েছে বোধনের আয়োজনে। সকাল সাড়ে আটটায় বোধনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আবৃত্তিশিল্পী অঞ্চল চৌধুরীর আবৃত্তি ও শিল্পী রণধীরের পরিবেশনায় বংশীধ্বনির দলীয় বংশীবাদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হবে। বিকেল তিনটায় বসন্তবরণ উপলক্ষে আন্দরকিল্লা চত্বর থেকে বর্ণিল শোভাযাত্রা বের করা হবে। বিকাল পাঁচটায় বসন্তের কথামালার আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। উৎসবে সবার উপস্থিতি কামনা করেছেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ ও সাধারণ সম্পাদক প্রণব চৌধুরী।
ভালবাসা দিবসে ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সের আয়োজন : নগরীর ও আর নিজাম রোডে অবস্থিত ওয়েল পার্ক রেসিডেন্স বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী রকমারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ভালোবাসা দিবসে মোমের আলোয় বসে যুগলের সময় কাটানোর সাথে থাকবে সুরের মুর্চ্ছনা। ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সির নবম তলায় মোহরা গার্ডেন ও বারবিকিউতে অতিথিদের ভোজনবিলাসের জন্য সজ্জিত থাকবে সুস্বাদু ওয়েল পার্ক এক্সক্লুসিভ প্ল্যাটার। দু’জনের জন্য এই খাবার মিলবে মাত্র টাকায়। হোটেলের জিএম এম. এ মনছুর বলেন, রোমান্স-বিনোদন ও ভোজনবিলাসের বিশেষ মুহুর্তগুলোকে উদ্যাপনে হোটেল ওয়েল পার্ক গ্রাহকদের জন্য সবসময় চিত্তাকর্ষক ও রুচিশীল অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।
বিশেষ আয়োজনে মেতেছে হোটেল আগ্রাবাদ : বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে রাঙিয়ে দিতে বিশেষ আয়োজনে মেতেছে হোটেল আগ্রাবাদ। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে হোটেল আগ্রাবাদের সুইমিং পুলের পরিবেশকে সাজানো হবে স্বর্গীয় আবহে। সন্ধ্যায় ভালবাসার গানের সুর-ছন্দে মাতিয়ে তুলবেন শহরের খ্যাতনামা সংগীত শিল্পীরা। থাকছে দেশী-বিদেশী নানা পদের রসনা বিলসী খাবারের সমাহারে ক্যান্ডেল লাইট বুফে ডিনার। ভালবাসা দিবসের স্মৃতিময় মুহূর্তগুলোতে ভালবাসার মানুষের সাথে থাকা, খাওয়া দাওয়া, মোহনীয় সময় কাটানোর মুহূর্তকে ধরে রাখতে থাকছে লাভ ফটো বুথ।
হোটেল আগ্রাবাদ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এইচ এম হাকিম আলী জানান, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ছুটে চলা মানুষগুলোর যেন দম ফেলার ফুসর নেই। কর্মমূখর যান্ত্রিক জীবনে তবুও রয়ে যায় প্রিয়জনের প্রতি বিশেষ আবেগ ও ভালবাসা। বিশ্ব ভালবাসা দিবসের সন্ধ্যাটুকুতে রোমাঞ্চময় পরিবেশে প্রিয়জনের কাছে থাকার সুযোগ করে দিতে আমরা আয়োজন করেছি বিশেষ ইভেন্ট। এটা আমাদের ধারাবাহিক কর্মকান্ডের অংশ।
সহকারী মহাব্যবস্থাপক হাসানুল ইসলাম বলেন, বিশ্ব ভালবাসা দিবসে সুইমিং পুলের পাশে মনোরম পরিবেশে প্রিয়জনের সাথে লাইভ মিউজিক এর সুরের ঝর্নাধারায় অবগাহন, ক্যান্ডেল লাইট ব্যুফে ডিনারসহ সমস্ত আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন প্রতি কাপল মাত্র ৩০০০/ (তিন হাজার) টাকায়। বিস্তারিত জানতে ও টিকেট বুকিং দিতে ০১৭ ৬৬৬৬ ৫১৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে কিংবা সরাসরি হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে যোগাযোগ করা যাবে।