পিকআপ চালককে হত্যা করে রেললাইনে ফেলে গেল খুনিরা

3

মিরসরাই প্রতিনিধি

মিরসরাইয়ে তৌহিদুল ইসলাম খোকন (৩০) নামে এক পিকআপ চালককে হত্যার পর রেললাইনে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে পূর্বাঞ্চল রেলের ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের হিঙ্গুলী খান সিটি সেন্টার সংলগ্ন স্থান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোকন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামের হাসেম ড্রাইভারের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী গতকাল রাতে একই এলাকার শাহাজাহান মেম্বার বাড়িতে তাঁর ভাতিজির গায়ে হলুদে যায়। সেখানে যাওয়ার আগে স্থানীয় বখাটে ইয়াবা সেবনকারী মোতালেব, আমজাদ, রাসেল তাদের জন্য ইয়াবা নিতে উনার মোবাইলে বারবার ফোন করে। কিন্তু তিনি রাজি হননি। রাতে গায়ে হলুদে গিয়ে আর ফেরেননি। সকালে রেললাইনে মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা আমার স্বামীকে খুন করে রেললাইনে ফেলে যায়, যাতে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে এটা বুঝানো যায়। এখন আমার সন্তানদের নিয়ে কোথায় যাবো? কার কাছে যাবো? আমার স্বামী হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।
সরেজমিনে গিয়ে গেছে, খোকনের বাড়িতে মা-স্ত্রী, আত্মীয় স্বজনদের আহাজারিতে পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এলাকার সবার দাবি মাদক সরবরাহ না করার জেরে তাকে খুন করা হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার ভাই খোকন পিকআপ চালিয়ে সংসার চালাতো। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে খান সিটি সেন্টারে চা খায়। পরে তাকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকালে খান সিটি সেন্টারের পেছনে রেললাইনের উপর তার লাশ পাওয়া যায়। তার এক বছর বয়সী একটি মেয়ে ও সাত বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।
হিঙ্গুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, সকালে খবর পাই খোকন মারা গেছেন। কে বা কারা তাকে খুন করে রেললাইনে ফেলে গেছে। পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (মিরসরাই সার্কেল) মনিরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে খুন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।