পরস্পরকে ছেলেধরা বলে গণপিটুনি খেল স্বামী-স্ত্রী

22

সারাদেশে ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে গণপিটুনির ঘটনা নতুন নৃশংসতার জন্ম দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে পুরনো ক্ষোভ মেটাতে অনেকেই ছেলেধরা গুজব তুলে মারধর করছেন। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরে।
এক রিক্সায় উঠেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন স্বামীর এক বন্ধুও। তিনজনকে নিয়ে যখন রিকশাটি চলছিল তখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে লাগে ঝগড়া। এক পর্যায়ে তা তুমুল আকার ধারণ করে। স্ত্রী অভিযোগ করেন, তিনি শুনেছেন তার স্বামী আরেকটি বিয়ে করেছেন। স্বামী অস্বীকার করছিলেন সেটি। এ নিয়েই বাঁধে বিপত্তি।
স্ত্রী যখন রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেন না তখন লাফ দিয়ে রিকশা থেকে নেমে ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার করে উঠলেন।
রিকশা থামিয়ে নামলেন স্বামীও। তিনিও স্ত্রীকে ইঙ্গিত করে পাল্টা ‘ছেলেধরা ছেলেধরা’ বলে চিৎকার শুরু করলেন। ততক্ষণে আশপাশে থাকা মানুষরা দৌড়ে এগিয়ে এলেন।কেউ স্ত্রীর দিকে কেউবা স্বামীর দিকে।
পথচারীদের যার কাছে যাকে ‘ছেলেধরা’ মনে হয়েছে তার উপরই হামলে পড়লেন। বাদ পড়লেন না রিকশায় থাকা স্বামীর নিরীহ বন্ধুটিও!
জনতা মিলে তিনজনকে এক চোট গণধোলাই দেয়ার পর পুরুষদ্বয় কোনোমতে পালিয়ে বাঁচলেন। স্ত্রী তানিয়াকে পুলিশ এসে আহত অবস্থায় উদ্ধার করলো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার খাওয়ার সময় তানিয়া বারবার বলছিলেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে, আমি ছেলেধরা না।’ কিন্তু জনতা তার কথায় কান দেয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে নয়নপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর থানা পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বেড়াইদেরচালা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা এবিএম তাজউদ্দিনের মেয়ে তানিয়া। তানিয়ার স্বামীর সাথে কথা কাটাকাটির এক সময় এলাকার স্থানীয়রা এসে ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে দু’জনকে পিটিয়ে আহত করে। খবর বার্তা সংস্থার