চকরিয়া প্রতিনিধি
চকরিয়ায় চতুর্থ দফায় ইউপি নির্বাচনে ফাঁশিয়াখালী ও হারবাংয়ে আওয়ামী লীগের দুই নেতা নৌকা না পেয়ে তাদের ভাইদের চেয়ারম্যান প্রার্থী করেছেন। এতে ওই দুই ইউনিয়নে নৌকা প্রার্থীর বিপক্ষেও তারা কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী এবারে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় তার ছোট ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তিনি তার ছোট ভাই নাসির উদ্দিনের পক্ষে গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এমনকি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপক্ষে গিয়ে তাকে পরাজিত করতে কলকাটি নাড়ছেন তিনি।
ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। কিন্তু ফাঁশিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবারে নৌকা না পাওয়ায় আমার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি তার ছোট ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করে নৌকাকে পরাজিত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন।’
অপরদিকে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম মিরান এবারে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করতে তার ছোট ভাই জাহেদুল ইসলামকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন। মিরানের বিরুদ্ধে গত বছর গরুচোর আখ্যা দিয়ে মা-মেয়েকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি এবার নৌকার মনোনয়ন পাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি নৌকার প্রার্থী মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজকে ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। একইভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী মিরানুল ইসলামের পক্ষের লোক। তিনি তার আত্মীয় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছৈয়দ নূরকে নৌকার বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন। ছৈয়দ নূর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।