‘নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুতে অগ্রাধিকার’

38

টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা আওয়ামী লীগের আগামীর উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণকে নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী দামে বিদ্যুৎ দেওয়া অগ্রাধিকারে থাকবে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন বছরের প্রথম কর্মদিবস মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নিরঙ্কুশ জয় পাওয়ার পর একদিন পর নসরুল হামিদ বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহই হবে আগামীর চ্যালেঞ্জ। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ভবিষ্যতের কর্মসূচি নেওয়া হবে।”
গত সেপ্টেম্বরে ১১ হাজার ৫৩৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। এর আগে গত ১৮ জুলাই সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৩৮৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছিল। সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে গত নভেম্বরে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডে যুক্ত করা হয় বঙ্গোপসাগরের বুকে দ্বীপ উপজেলা স›দ্বীপকে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহ কর্মসূচির সফলতা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “৯৪ ভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সরবরাহের নেটওয়ার্কে এসে পড়েছে। আগামী জুনের মধ্যে এসব এলাকায় সবাই বিদ্যুৎ পাবে।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নিরবচ্ছিন্নভাবে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এ খাতে প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। এই মুহূর্তে ৪০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা গেলে আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবে।” এ সময় পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ ও পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রবিবারের ভোটে ঢাকা-৩ (কেরানীগঞ্জ) আসনে নৌকার প্রার্থী নসরুল হামিদ বিপু ২ লাখ ২১ হাজার ৩৫১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির গয়েশ্বর চন্দ্র রায় পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬১২ ভোট। এই এলাকায় দেশের প্রথম বর্জ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা ছিল নসরুল হামিদের নির্বাচনী প্রচারণায়।-বার্তা সংস্থার খবর
আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা আছে।