নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে শাহাদাত জয়ী হবে

62

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রচারণার দ্বিতীয় দিন গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের কবর জেয়ারত করেন বিএনপি প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
সকাল ১০ টায় লালিয়ার হাটে মরহুমের কবর জেয়ারতে যান তারা। পরে দক্ষিণ পাহাড়তলি ওয়ার্ডের লালিয়ার হাট, আমান বাজার, খোসাল শাহ সড়ক, বড়দীঘির পাড়, ভাটিয়ারী রোড, ৩ নং বাজার, ফতেয়াবাদ, চৌধুরীহাট, চড়ারকূল, স্টেশন রোড, সন্দ্বীপ কলোনি, ২ নং জালালাবদ ওয়ার্ডের বালুছড়া বাজার, ইব্রাহীম কটন মিল, নতুন পাড়া, তুফানী রোড, খন্দকিয়া হাট, জমাদার পাড়া, কূলগাঁও, ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের অক্সিজেন মোড়, রউফাবাদ, মুরাদ নগর, কামরাবাদ, ছামাদপুর, হাজীপাড়া, খন্দকার পাড়া, চালিতাতলি সড়কে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন আবদুল্লাহ আল নোমান।
এ সময় তিনি বলেন, চসিক নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আমরা অংশ নিয়েছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ডা. শাহাদাত হোসেন বিপুল ভোটে জয়ী হবে। বুলেটের চেয়ে ব্যালট শক্তিশালী। ২৯ মার্চ চট্টগ্রামবাসী ব্যালটের মাধ্যমে জবাব দিবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ৯০ এর গণআন্দোলনের পর বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। ২০০১ সালে এসে আমরা বাণিজ্যিক রাজধানী করার জন্য মন্ত্রীপরিষদে বিল পাস করি। শুধু নগরী নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাতে আমাদের পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তা বাস্তবায়ন করেনি।
তিনি বলেন, আজ পত্রিকায় দেখলাম আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে সাজাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। আমার প্রশ্ন, এটাতো অনেক আগেই বিএনপি বাস্তবায়িত করে রেখেছিল। কিন্তু বর্তমান সরকার এটা করেনি কেন?
তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। সরকার আসছে, সরকার যাচ্ছে কিন্তু জলাবদ্ধতার ব্যাপারে কিছুই হচ্ছে না। আমাদের সুযোগ্য মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচিত হলে জলাবদ্ধতা ছাড়াও কর্পোরেশনের মাধ্যমে যেসব উন্নয়ন কাজ করা দরকার আমরা করবো। আমি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাজেটে আলাদা অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, যে এলাকায় গণসংযোগ করছি, এলাকাগুলো অবহেলিত। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমি সবার সাথে মতবিনিময় করে সবকিছু চিহ্নিত করে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নের জন্য এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, জনগণের দল বিএনপি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশের উন্নতি হয়েছে। সেজন্য জনগণ আমাদেরকে চায়। কিন্তু দিনের ভোট রাতে নিয়ে ফেলার কারণে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। এবার আপনারা ভয়কে জয় করে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে সহায়তা করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সফিয়ান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর মো. হেলাল উদ্দীন, সাথী উদয় কুসুম বড়ুয়া, চাকসুর ভিপি নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাক আহাম্মদ খান, বিএনপি নেতা ইকবাল চৌধূরী, এসএম আবুল ফয়েজ, কাজী বেলাল, নুর মোহাম্মদ, শামসুল আলম, জিএম আইয়ুব খান, কামরুল ইসলাম, ২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ইয়াকুব চৌধুরী, ফাতেমা বাদশা, আব্দুল্লাহ আল হারুন, রফিকুল ইসলাম, জাকারিয়া সেলিম, মো. ইদ্রিস আলী, ডা. মো. ফরিদ, জেলী চৌধুরী, আব্দুল কাদের জসিম, মো. বেলাল, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাশেদ, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইলিয়াছ, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী রোকসানা বেগম মাধু, বিএনপি নেতা সেলিম চেয়ারম্যান, মো. জাকের হোসেন, সোলাইমান মন্জু, এসএম আবুল কালাম আবু, মামুন আলম, গাজী ইউসুফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবছার উদ্দীন, মো. ফোরকান, আজগর হোসেন আজু, মো. শাহজাহান, এম. ইলিয়াছ আলী, খোরশেদ আলম, শাহজাহান মঞ্জু, সরোয়ার জাহান পুতুল, আব্দুল করিম, সৈয়দ মহসিন, সৈয়দ ইকবাল, নাজিম উদ্দিন, এসএম আলী, নুরুল ইসলাম, ওয়াহিদুল আলম, শাহেদুল আজম, আবুল মনছুর, মো. জাবেদ, নাছির উদ্দীন, শাহজাহান খান প্রমুখ।