ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই দেশকে কালিমা লেপন করতে একটি গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। তিনি বলেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণে বাধা সৃষ্টিকারীরা কখনো ভালো মানুষ হতে পারে না, তারা ধর্মের লেবাসধারী। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারকে আমি শিশুকাল থেকে দেখে আসছি। এখানে আসলে মনে প্রসন্নতা জাগে। এ বিহার নির্মাণে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’
তিনি গতকাল ২৮ অক্টোবর নগরীর ডিসি হিল মঞ্চে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের কঠিন চীবর দানোৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। অনুষ্ঠানে আশীর্বাদ ছিলেন বাংলাদেশী বৌদ্ধদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের। উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মৃণাল কান্তি বড়ুয়া। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির মহাসচিব সুদীপ বড়ুয়া, এডভোকেট সুনীল কান্তি বড়ুয়া, কঠিন চীবর দান উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আদর্শ কুমার বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক সাধন কান্তি বড়ুয়া, অর্থ সম্পাদক সুমন বড়ুয়া বাপ্পী। ধর্মালোচনা করেন প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবির, বিপুলসেন মহাস্থবির, প্রজ্ঞাদর্শী স্থবির, এস প্রজ্ঞামিত্র থের। প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন নন্দশ্রী থের। ২য় পর্বের সঞ্চালনা করেন বৌদ্ধ সমিতি যুব’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার বড়ুয়া ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সপু বড়ুয়া।
সকালে প্রথম পর্বের সংঘদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপসংঘরাজ শাসনপ্রিয় মহাথের। এ পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন সুগতশ্রী মহাথের। ধর্মকথা বর্ণনা করেন এম বোধিমিত্র থের, আর্যপ্রিয় থের, প্রিয়রত্ন থের, পরমানন্দ মহাথের, শীলজ্যোতি মহাথের, শাসনজ্যোতি ভিক্ষু, মুদিতারত্ন ভিক্ষু, উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির যুগ্ম মহাসচিব অরুণ কুমার বড়ুয়া দেবু। ১মপর্ব সঞ্চালনায় ছিলেন নয়ন বড়ুয়া। খবর বিজ্ঞপ্তির
