দোকানে কর্মচারীকে ৩ দিন আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ

13

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরীর হাজারী গলিতে স্বর্ণের বার চুরির অভিযোগে এক কর্মচারীকে ৭২ ঘণ্টা আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দোকান মালিকের বিরুদ্ধে। চৌধুরী পাক্তার হাউস নামক দোকানের মালিক ওয়াহেদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনেন মারধরের শিকার কর্মচারী ইমন দে’র (২৬) মা শিল্পী দে চৌধুরী। অভিযোগে তিনি জোরপূর্বক ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য দিনে দিনে তার সিএনজি অটোরিকশা ও জমি বিক্রি করে টাকা আনতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও জানান। গতকাল সোমবার দুপুরে এ বিষয়ে অভিযোগ জানাতে কোতোয়ালী থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে জুয়েলারি সমিতি বরাবর অভিযোগ দিতে বলা হয়।
ইমনের মা জানান, ‘আমার ছেলে যদি সোনার বার চুরি করে থাকে তবে তাকে আইনের আওতায় এনে তার বিচার করা হোক। তাছাড়া চুরির দায়ে দোকানের অন্য কর্মচারীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। কিন্তু আমার ছেলেকে কেন এভাবে মারধর করা হচ্ছে?’
ইমনের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘সোমবার দুপুরে কোতোয়ালী থানায় মামলা করতে গেলে তারা মামলা নেবে না জানিয়ে থানার অপারেশন অফিসার এরশাদুল্লাহ জুয়েলারি সমিতির সভাপতির ফোন নম্বর দিয়ে দেন। এ সময় জুয়েলারি সমিতির সভাপতির সঙ্গে কথা হলে তিনি রাত ৭টায় তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। এরই মধ্যে দুপুরের দিকে আমার ফোনে কল আসে ইমনের অন্য এক বন্ধু রকির। সে জানায়, ইমনের আদেশে তিন লাখ ৩০ হাজার টাকায় অটোরিকশা বিক্রি করেছি। এ টাকা তাকে দিয়ে তাদের দিয়ে আসতে বলেছে। তাছাড়া ইমনসহ তার তিন বন্ধু মিলে একটি জমি ক্রয় করেছিল সে জমিও তারা জোরপূর্বক বিক্রি করিয়েছে। ১০ লাখ টাকা মূল্যের জমি তিন লাখ টাকায় বিক্রি করিয়েছে।’
সেবাপ্রার্থী থানায় উপস্থিত হয়ে সেবা না পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘স্বর্ণচুরি বা এ ধরনের বিষয়ে মামলা নিতে মানা রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের তরফ থেকে। তবে এ বিষয়ে আদালতে মামলা করতে পারেন। তাছাড়া আটকে রেখে মারধর করা আইনানুগভাবে অপরাধ। এ বিষয়ে অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’