দুই পার্বত্য জেলার মহাসড়কে আধাবেলা গণপরিবহন ধর্মঘট

38

নগরীর অক্সিজেন মোড়ে বাস মালিক-শ্রমিকদের মারধর ও বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে দুই পার্বত্য জেলার চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়কসহ উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন সড়কে অর্ধবেলা ধর্মঘট পালন করেছে গণপরিবহন শ্রমিকরা। কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই গতকাল মঙ্গলবার এ ধর্মঘট পালন করা হয়।
এতে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ায় গন্তব্যমুখি দূরপাল্লার হাজার হাজার যাত্রীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই দুই মহাসড়কসহ প্রায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। দুপুরের দিকে মারধর ও বাস ভাঙচুরের ঘটনার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের আশ্বাসে গণপরিবহন সংগঠনগুলো তাদের গণপরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলে দুই মহাসড়কসহ উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে সকাল থেকে ধমর্ঘটের কারণে নগরীর অক্সিজেন থেকে পাবর্ত্য জেলা রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির যাত্রীদের পাশাপাশি হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, উত্তর রাউজান, উত্তর রাঙ্গুনিয়ার যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। অনেক এলাকায় সিএনজি অটোরিকশা, টেম্পোর মতো ছোট ছোট যানবাহনগুলোও চলাচলে বাধা দেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করে প্রায় ৩০টি রুটের হাজার হাজার যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অনেকেই বাধ্য হয়ে হেঁটে, রিকশায় চড়ে বেশি টাকা ভাড়া দিয়ে কমর্স্থল ও জরুরি প্রয়োজনে গন্তব্যস্থলে যান।
বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের দাবি গত সোমবার বিকাল ও রাতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক ও টোকেনদাতা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মিলে দুই দফায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের উপর হামলা চালায়। এতে ১৭ জন শ্রমিক আহত হন। হামলায় আহত বাস শ্রমিকরা এই বিষয়ে ডিসি ট্রাফিকের কাছে অভিযোগ করে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ডিসি ট্রাফিকের কার্যালয় থেকে ফিরে অক্সিজেন মোড় এলাকায় গেলে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। এ সময় একটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি বাস মালিক সমিতির।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও চট্টগ্রাম নাজিরহাট-খাগড়াছডড়ি বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম মঞ্জু মুঠোফোনে জানান, ধর্মঘট বা অবরোধ নয়, বাস মালিক ও শ্রমিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার স্বার্থে শ্রমিকেরা বাস না চালানোর ঘোষণা দিয়েছে। যদিও দুপুরের দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুই মহাসড়কসহ উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক সংগঠনের নামে টোকেন নিয়ে সিএনজিচালিত গ্রাম ট্যাক্সি নির্বিঘ্নে শহরে অবৈধভাবে চলাচল করছে। এসব ট্যাক্সি অক্সিজেন মোড় ও মুরাদপুর এলাকার সড়কের একপাশ দখল করে রাখে। যার জন্য যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটে এবং সড়কে যানজট লেগে যায়। তাই এসব ট্যাক্সি চলাচল বন্ধ করা এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে বাস চলাচল থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।