দরজাতে বাবার লাশ সন্তানদের বাত-বাহাস

20

মছিউদ্দৌলা জাহাঙ্গীর

পৃথিবীতে সবচাইতে ভারী বস্তু পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ, আর মনোহারী সন্তানের কাঁধে পিতার লাশ। কারণ তখন সে সবসম্পদের মালিক, বাপের যোগ্য উত্তরসূরী। বাপেরভিটায় বাত্তি জ¦ালাবে বাপের মৃত্যুর পর, এই আশায় মা-বাবা সন্তানদের বড় করেন, মানুষ করেন। কিন্তু দুঃখের কথা, মানুষ না হয়ে তারা হয়ে উঠে একেকটা বানর। আবার বানরের কথা চলে এলো। গত কিছুদিন যাবৎ বানর নিয়ে বড়ই বাকবিতÐা চলছে দেশ জুড়ে। পর পর দুইটা প্রবন্ধ লিখে ফেললাম, তারপরও বানর ছাড়ছেনা। যা বলছিলাম, পিতামাতা কষ্ট করে বানায় মানুষ কিন্তু তারা হয়ে যায় বানর। অবশ্য ডারউইন সাহেবের তত্ত¡ মত আমাদের পূর্বপুরুষ ছিল বানর। অতএব তার রেশ তো থাকবেই, যতই মানুষ হই না কেন। ফলে দেখা যায় যত বেশি পড়ালিখা শিখানো হয়, সন্তানরা তত বড় বানর হয়ে যায়। কাজেই মা-বাবা মৃত্যুবরণ করলে বড় বড় শিক্ষিত সন্তানগণ লাশ ফেলে রেখে সম্পত্তির ভাগ নিয়ে যুদ্ধে মেতে উঠে। তবে যেসব সন্তান শিক্ষিত না, অথবা কম লিখাপড়া জানা তারাই দেখা যায় প্রকৃত মানুষ। তারাই মা-বাবাকে সঠিক সম্মান করে, মা-বাবার যতœ-আত্তি করে, মা-বাবার সেবায় নিয়োজিত থাকে। উচ্চ শিক্ষিতরা দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখে বাবা-মার সম্পদের দিকে, থাকে কখন পিতামাতা মৃত্যুবরণ করে, সেই অপেক্ষায়। বাবা-মার অর্থে হয়ে উঠে তারা একেকজন বিবর্তিত বানরের প্রকৃত বংশধর।
আসলে সমাজটা লাইনচ্যুত হয়ে যাচ্ছে। মাস দুয়েক আগে পত্রিকায় দেখলাম, কর্ণফুলী থানা এলাকায় সন্তানদের সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারার লড়াইয়ে পড়ে পিতার লাশ দুইদিন ফ্রিজিং এ্যাম্বুলেন্সে রয়েগেছে, সৎকারের খবর নাই। বাবার পেনশনের পঞ্চাশ লাখ টাকার হিসাব নিষ্পত্তি না হওয়ায় দুইদিন ব্যাপী তাঁর লাশ ফ্রিজারে পড়ে রইল। ভাবছি পিতা কি কখনো পারতেন সন্তানের লাশ ফেলে রেখে তার টাকার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত থাকতে? ভাবতে কষ্ট হয় সন্তানের কাছে আজ পরম কাম্য বস্তু পিতার লাশ। কারণ এর ফলে সম্পদে তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার রাস্তা সুগম হয়। আর নীতিনৈতিকতার যখন চলছে এমন চরম অবক্ষয় তখন আমরা স্কুলের পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করছি ডারউইন তত্ত¡। আচ্ছা বিবর্তনবাদের চর্চা করে, সমাজ কি এমন উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাবে? মানুষের মধ্যে দয়া নেই, মায়া নেই, নীতিনৈতিকতার বালাই নেই, সবাই কেমন যেন হিং¯্র হয়ে উঠছে। দুর্নীতির বীভৎস রূপ সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে স্থানকরে নিয়েছে। এই সময় যদি বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের বিবর্তনবাদ পড়ানো হয়, তাহলে তো আগুনে ঘি ঢালার অবস্থা হয়ে যাবে। সমাজ এমনিতে অন্যায় অনিয়মে ভরে গেছে। এখন যদি বলা হয় মানুষ বানরের বংশধর, পুরানা খাসলত তো তখন এমনিতেই চিলিক মারতে থাকবে। বাঁদরামি এদ্দিন যেগুলি করে নি, সেগুলিও আর বাকি রাখবে না, হাহাহাহা।
আসলে কি বলবো আমাদের অধঃপতনের কথাÑগত আগস্ট মাসে দেখলাম পটিয়ায় এক ছেলে তার মাকে গুলি করে হত্যা করেছে! ছেলেটি পটিয়ার সাবেক পৌরসভা মেয়র মরহুম শামশুল আলম মাষ্টারের বড় ছেলে। ২০২২-এর জুলাই মাসের ১৩ তারিখ মাষ্টার সাহেব মৃত্যুবরণ করেন, তার ৩৪ দিন পর আগস্টের ১৬ তারিখ বাপের ব্যাংকের টাকার জন্য ছেলে মাকে হত্যা করে। তাহলে সে সম্পদের দরকার কি, যে সম্পদ সন্তানকে অমানুষ বানায়? বাবা-মা আপনজান বাজি রেখে সন্তানদের মানুষ করে। আহা তারকা রেসলার শ্যাড গ্যাসপার্ড তাঁর দশবছরের ছেলে আরিয়েহকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার ভেনিস সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটতে নামলেন। হঠাৎ বিশাল এক ঢেউ এসে পিতাপুত্রকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গ্যাসপার্ড নিজের প্রাণাধিক প্রিয় পুত্রকে দ্রæত লাইফগার্ডের হাতে তুলে দিলেন, আগে আমার ছেলেকে বাঁচাও বলে। তারা ছেলেকে সামলাতে সামলাতে গ্যাসপার্ড সমুদ্রের অথৈজলে তলিয়ে গেলেন। আর খুঁজে পাওয়া গেল না তাঁকে, দুদিন পর অন্য একটিস্থানে পাওয়া গেল তাঁর লাশ। ২০২০ সালের মে মাসের ঘটনা এটি। অতএব পিতা সর্বস্থানে, সর্বকালে, সকল অবস্থায় পিতা। আমরা তো ভাবি আমেরিকানরা ফাস্টলাইফ এনজয় করে, তারা মায়া-মমতার কি বুঝবে। কিন্তু মা-বাবার কাছে কোন স্থান-কাল-পাত্রভেদ নাই।
ভারতের মধ্য প্রদেশের বান্ধবগড় বাঘ সংরক্ষণ কেন্দ্রে অর্চনা চৌধুরী নামে এক মা তাঁর ১৫ মাস বয়সী ছেলেকে বাঘের মুখ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গেল বছরের সেপ্টেম্বরে। অর্চনা ছেলেকে সাথেনিয়ে মাঠে কাজ করছিলেন, হঠাৎ একটি বাঘ এসে বাচ্চাটির মাথায় কামড় বসায়। তৎক্ষণাৎ অর্চনা খালিহাতে বাঘটিকে আক্রমণ করে বসেন এবং তাঁর চিৎকারে লোকজন ছুটে এসে তাঁদের উদ্ধার করে, বাঘ পালিয়ে যায়।
অর্চনা গুরুতর আহত হয়ে ছিলেন বটে, কিন্তু মা ও সন্তান দ্রæত আরোগ্য লাভ করেন। একেই বলে মা, সন্তানের জন্য বাঘকেও পরওয়া করেনা। আর শামশু মাষ্টারের ছেলে সেই মাকে গুলি করে হত্যা করে। বাঘের হাত থেকে ছেলেকে উদ্ধারের রোমহর্ষক আরেকটি ঘটনা আছে। এটিও ভারতের মধ্যপ্রদেশের, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ঘটেছে। ঝিরিয়া গ্রামের বাগাই সম্প্রদায়ের নারী কিরণ। শীতের সন্ধ্যায় সন্তানদের নিয়ে ঝোপের পাশে বসে আগুন পোহাচ্ছিলেন। ঝোপের মধ্য থেকে চিতা বাঘ একটা লাফিয়ে এসে কোনকিছু বুঝে উঠার আগে তার আট বছরের ছেলেটাকে মুখে নিয়ে দিল ছুট। কিরণ আর দেরী করল না, তিলসম কালক্ষেপণ না করে চিতার পিছু ধাওয়া দিল। জঙ্গলের মধ্য দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার ধাওয়া করার পর বাঘটা কিছুটা ঘাবড়ে গেল।
ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে কিরণকে আক্রমণ করতে উদ্যত হল বাঘটি। কিরণ একটি লাঠি কুড়িয়ে নিলো, বাঘটি তার দিকে লাফ দিতেই লাঠির আঘাতে সে তাকে চিৎপটাং করে দিল। ভয়ে বাঘ পালিয়ে গেল, ছেলেকে নিয়ে কিরণ ঘরে ফিরে এলো বিজয়ীর বেশে। চারদিকে তাকে নিয়ে প্রশংসার ঝড় উঠলো। আবার প্রমাণ হলো দরকার মানুষকে দুর্ধর্ষ বানায়। বন্দুক দিয়ে যেখানে মানুষ বাঘের মোকাবেলা করতে ভয় পায়, একজন মা সেখানে মামুলি একটি লাঠির সাহায্যে বাঘকে কুপোকাৎ করল। এই পর্যায়ে কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন, কেবল মায়েদের বীরত্ব দেখানো হচ্ছে। বাবাদের কি কোন বীরত্ব নেই? অবশ্যই বাবাদের বীরত্ব আছে, এবং তেমন একটি বীরত্বের ঘটনা ঘটেছিল ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশের সুন্দরবনে। শক্তিশালী রয়েল বেঙ্গলের সাথে যুদ্ধ করে বাবা কেড়ে নিয়েছেন ছেলেকে। ২৫ বছর বয়সী ছেলে রবিউল শেখকে বাঘের মুখ থেকে ছাড়িয়ে আনেন ৫৫ বছর বয়সী পিতা হালিম শেখ। মৌয়াল রবিউল শেখ সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণের শিকার হয়। তখন সাথে থাকা তারপিতা লাঠি ও দা’য়ের সাহায্যে বাঘের মোকাবেলা করে ছেলেকে উদ্ধার করেন। বাঘ রবিউলের ঘাড় কামড়ে ধরেছিল, হালিম শেখ লাঠি দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে বাঘকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
এই হলো পিতামাতা, নিজের জীবন বাজি রেখে যারা সন্তানের প্রাণ রক্ষা করেন। আর সেই সন্তান বাবামা’র লাশকে ফেলে রেখে সম্পত্তির ভাগ নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আহা শামশু মাষ্টার, আশির দশকের শেষ ভাগে ৮৬/৮৭ সালের দিকে পটিয়ায় তার কি দাপট! এরশাদ রেজিমের পটিয়ার বাঘ বল্লে তাকে নিশ্চয় অত্যুক্তি হবে না। সেই বাঘ হয়ে গেল বিড়াল, তারপর ঘরে পয়দা হল এক দজ্জাল। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে হালের এক শামশুর, জানিনা অবশেষে তার পরিণতি কি হয়। ২০১৭’তে দেখলাম ঢাকার আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদের দুর্দান্ত প্রতাপ। ছেলেকে দিলদার সাহেব দৈনিক দুলক্ষ টাকা করে নাকি দিতেন হাত খরচের জন্য, মাশাল্লাহ্। ফলে ছেলে হয়ে গেল নানাগুণের ভাÐ, নিত্যদিন করত সখা উদ্ভট উদ্ভট কাÐ।
পরবর্তীতে দেখলাম সাফাত মিডিয়াতে বলছে, তার বাপ তাকে খারাপ বানিয়েছে। মেয়ে ভাড়া করতে বাপ তাকে টাকা দিত। সে আরো বলেছে, তার বাবা রাজাকার, বিএনপির দালালী করে, ইত্যাদি। নিজে যখন বেজে গেল তখন বাপকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে, হেহেহেহে! অথচ স্মরণ করুন সেই বিখ্যাত আয়াত, যা পুত্র ইসমাঈল (আ.) বলছেন পিতা ইব্রাহিম (আ.)-এর উদ্দেশ্যে, ‘ইয়া আবাতিফ আল মা- তু’মারু সাতাজিদুনী ইনশাল্লাহু মিনাসসাবেরিন।’
আহ্Ñকি কথা! কলিজা ঠাÐা হয়ে যায় শুনলে। পুত্র পিতাকে বলছেন, হে আমার পিতা আপনাকে যা নির্দেশ করা হয়েছে আপনি অতি সত্বর তা কার্য কর করুন। আমাকে ইনশাল্লাহ্ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন। বিশ^াস করুন চোখের পানিতে আমার চক্ষুদুটি ছলছল করছে আয়াতটি পড়ার পর। এখন বলুন সন্তানদের এই জিনিস না শিখিয়ে তাদের যদি শেখানো হয় মানুষ বানরের বংশধর, তাহলে তারা আপনাকে রাজাকার না ডেকে কি মমতার আধার ডাকবে? মাসখানিক পূর্বে দেখেছি কুমিল্লায় সিরাজুলহক নামে ৮৪ বছরের এক হোমিও চিকিৎসকের লাশের সামনে তার স্ত্রী-কন্যা মারামারি শুরু করে দিল সম্পত্তির ভাগের জন্য। স্বার্থের তাড়নায় মানুষ আজ সত্যি বাঁদর হয়েগেছে। এমতাবস্থায় আগুনে ঘি ঢালার মতো ছেলেমেয়েদের ডারউইন তত্ত¡ পড়ানো হলে দেশে আর বানরের অভাব হবে না। এমনিতে এখন সন্তানদের কাছে মাবাবার কদর নাই, ডারউইন তত্ত¡ তো তাদের আরো বড় বাঁদর বানাবে। হযরত ইসমাঈলের (আঃ) উদাহরণ দিলাম। আরো বলা যায় হযরত বায়েজিদ বোস্তামী, হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর (রহঃ) কথা। মায়ের আদেশে মিথ্যা বলেন নি আব্দুল কাদের। যে জন্যে গোটা ডাকাত দল পরিশুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল,পুরা একটি জনপদ পাল্টে গিয়েছিল।
অতএব তাঁরাও সন্তান ছিলেন, আর আমাদেরগুলাও সন্তান হলেন। তবে পার্থক্য, সেই সন্তানেরা জগৎ পাল্টিয়ে ছিলেন আর এই সন্তানেরা ঘর উল্টিয়ে চলেন। ইব্রাহিম (আ.) যখন বললেন, হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে আমি তোমাকে জবেহ করছি। অতএব দেখ তোমার কি অভিমত? সাথে সাথেই হযরত ইসমাঈল বললেন, হে আমার পিতা আপনার প্রতি যা নির্দেশ করা হয়েছে দ্রæত আপনি তা পালন করুন। আর আমরা হলে বলতাম, তুমি তোমাকেই জবেহ করতে দেখেছ, আমাকে না, হাহাহাহা।
আসলে সমাজ আজ বড়ই বিশৃঙ্খল হয়ে উঠেছে। প্রাণ দিয়ে যে সন্তানকে আগলে রাখে পিতামাতা, সেই মা-বাবাকে কষ্ট দিতে সন্তান বিন্দু মাত্র কুণ্ঠিত হয় না। হযরত বায়েজিদ বোস্তামী সারা রাত গøাস হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন শুধু মায়ের নিদ্রা ভঙ্গ হওয়ার ভয়ে। সেই জায়গায় শামসু মাষ্টারের ছেলে গুলি করে মাকে চির তরে ঘুম পাড়িয়ে দিল। অবশ্য এক দৃষ্টিতে ঠিক আছে। বায়েজিদ বোস্তামী চেয়েছিলেন মায়ের নিদ্রাভঙ্গ না হোক, আর মাইনুল ইসলাম চেয়েছে মা আর না জাগুক। প্রকৃতপক্ষে সমাজকে আমরা অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। তারজন্য দায়ী আমাদের এই শিক্ষা ব্যবস্থা। এখনই বাবার লাশের এই দশা, তারোপর পাঠ্যক্রমে যদি ডারউইন তত্ত¡ যুক্ত হয়, তাহলে বাবাকে আর লাশ হওয়ার অপেক্ষা করতে হবে না। লাশ বানিয়ে বাবাকে সম্পত্তির দখল সন্তানরা বুঝে নেবে, হেহেহেহে।
বি. দ্র. কি আশ্চর্য দেখুন, ধারণার বাস্তবায়ন কত দ্রæত হলো প্রণয়ন। লিখা শেষকরে ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি, পরদিন সকালে সামাজিক মাধ্যমে দেখলাম নারায়ণ গঞ্জের ফতুল্লায় সম্পত্তি ও ৩২ লক্ষ টাকার লোভে বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিমকে একমাত্র পুত্র এইচ এম মাসুদ অটোচালক রুবেলের সহায়তায় হত্যা করে বøাড প্রেসার মেশিনের সাহায্যে মৃত্যু নিশ্চিত হয়। তারপর একটি ডাকাতির নাটক সাজায়! হায়রে নিঠুর দুনিয়া, কি লাভ তোমার এমন পুত্র দানিয়া?
লেখক : কলামিস্ট