দক্ষিণ চট্টগ্রামে যাত্রী হয়রানি বন্ধের দাবি

21

সকালে অফিস সময়ের আগে এবং সন্ধ্যার পর হলেই পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের ভাড়া গুণতে হয় দ্বিগুণের বেশি। বিআরটিসির বাসগুলো ওই সময় এ সড়ক ছেড়ে চলে যায় মহাগরের বিভিন্ন রুটে। এ সুযোগে পরিবহন শ্রমিকরা দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামে এ নৈরাজ্য বন্ধ, অতিরিক্ত বাসভাড়া আদায়রোধ ও হয়রানি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান যাত্রীরা।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসানের সাথে অনুষ্ঠিত ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
ইউএনও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, যাত্রী হয়রানি ও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাস শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াছিন, যাত্রীসেবা কল্যাণ সমিতির আহব্বায়ক নাজিম উদ্দিন পারভেজ, সদস্য সচিব বোরহান উদ্দিন, আবছার উদ্দিন সোহেল, নজরুল ইসলাম, আলমগীর বাবু, হাজী টিংকু, জয়নাল আবেদীন, মো. শওকত, ওমর ফারুক, ছাত্রদের পক্ষে মো. তৌহিদ, আবদুল আজিজ, মো. মাহবুব, মো. এখতিয়ার, জিয়াউর রহমান।
বৈঠকে এ বিষয়ে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। সুপারিশের ভিত্তিতে কার্মপন্থা নির্ধারণে আগামী শনিবার জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান ও বাস মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আরও একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। এতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম শহরের শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাশে বাসের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে একটি সিন্ডিকেট যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।