ত্রিপুরায় বাংলাদেশিকে পিটিয়ে হত্যার দুই দিন পর লাশ ফেরত

7

পূর্বদেশ ডেস্ক

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এক বাংলাদেশি যুবককে ‘পিটিয়ে’ হত্যার দু’দিন পর লাশ ফেরত দিয়েছে ভারত। গত সোমবার মধ্যরাতে আখাউড়া-আগরতলা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে যুবকের মরদেহ আসে এবং পরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান। নিহত ডালিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তবর্তী গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং এবং আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
গত শুক্রবার রাতে ডালিম মিয়া, জহিরুল ইসলাম (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩০), হৃদয় মিয়া (২৬) সহ কয়েকজন অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। তারপর শনিবার ডালিমকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় টাকারজলা থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং চেকপোস্টে সাংবাদিকদের বলেন, রাজ্যের একটি স্কুল থেকে শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এ সময় স্থানীয়রা চোর সন্দেহে ধাওয়া করে ডালিম ও জহিরুলকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক পিটায়। এতে ঘটনাস্থলেই ডালিম মারা যান। জহিরুলকে জনতার হাত থেকে রক্ষা করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে মোহন মিয়া ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ভারতে নিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শিমুল বেশ কিছুদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টায় শিমুলের ভাই জহিরুলসহ অন্যরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে’। মোহন মিয়া দাবি করেন, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের
আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘হত্যাকান্ডটি ভারতে ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। এ ঘটনায় ভারতে মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে’।